ফেসবুক সম্পর্কিত অজানা ২৮ তথ্য…
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। প্রতি মাসে ফেসবুকের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৫০ কোটি। জেনে নিন ফেসবুক সম্পর্কিত ২০ তথ্য, যেগুলোর অনেকগুলো হয়তো আপনার জানা নেই।
জেনে নেয়া যাক সেগুলো-
* ফেসবুকের নাম প্রথমে ছিল ‘facemash’, তারপর নাম হয় ‘Thefacebook’। ২০০৫ সাল থেকে নাম হয় ‘facebook’।
* শুরুর দিকে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটটিতে যে কেউ যে কারো প্রোফাইলে পোস্ট বা স্ট্যাটাস আপডেট করতে পারতো।
* ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গকে অনেকেই ফেসবুকে ব্লক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ফেসবুকে মার্ক জাকারবার্গকে ব্লক করা যায় না। মার্ক জাকারবার্গ যেন ফেসবুকের যে কোনো অ্যাকাউন্ট দেখতে পারেন, সেজন্যই তাকে ব্লক মুক্ত রাখা হয়েছে।
* ব্রিটেনে এক মহিলাকে ২০ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছিল। কারণ তিনি ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে নিজেই নিজেকে খারাপ খারাপ ভাষায় মেসেজ করতেন।
* এক ফেসবুক আসক্ত ব্লগার একজন মহিলাকে ভাড়া করেছিলেন তাকে ততবার চড় মারার জন্য, যতবার সে ফেসবুকে লগিন করবে।
* ২০১৪ সালে মিনেসোটা-তে এক চোর ধরা পড়েছিল, কারণ যে বাসায় সে চুরি করতে গিয়েছিল, ওই বাসার কম্পিউটারে সে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগ-ইন করে লগ-আউট করতে ভুলে যায়। ফলে সহজেই চোরকে চিহ্নিত করা হয়।
* অস্ট্রেলিয়ায় এক মা তার মেয়ের নাম রাখেন লাইক। কারণ সেই শিশু গর্ভে থাকাকালীন মা ফেসবুকে ‘like’ করলেই কিক করতো।
* ইজিপ্টে এক দম্পতি তাদের সদ্যোজাত কন্যা সন্তানের নাম রাখেন ফেসবুক। ফেসবুকে সরকারের নজরদারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবেই এই কাজ করেন সেই দম্পতি।
* ফেসবুকে ফ্রেন্ডকে আনফ্রেন্ড করার কারণে কিছু মানুষকে খুন পর্যন্ত হতে হয়েছে।
* ২০১১ সালে আমেরিকায় এক তৃতীয়াংশ ডিভোর্সের কারণ হয়ে ওঠে ফেসবুক। এটি গবেষণার তথ্য বলছে, ফেসবুকের বন্ধুদের সময় দিতে গিয়ে সম্পর্ককে অবহেলা করা হচ্ছে বেশি। সেখানে আরো বলা হয়েছে নিজের স্বামী, স্ত্রী, বান্ধবীর থেকে প্রাক্তন বা পুরনো সম্পর্কের প্রোফাইল নিয়েই বেশি আগ্রহী থাকেন ব্যবহারকারীরা।
* প্রতি ৫ সেকেন্ডে ফেসবুকে একটা নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়।
* গড়ে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে সময় ফেসবুকের জন্য খরচ করেন।
* একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর গড়ে ১৪০ জন ‘friends’ থাকে।
* প্রতিদিন প্রায় ৬ লাখ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করা হয়ে থাকে।
* ফেসবুকের সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীর রয়েছে কানাডায় এবং তারপর যুক্তরাষ্ট্রে। এই দুইটি দেশে প্রতিদিন ফেসবুকের সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা মোট ১৫৭ মিলিয়ন।
* যুক্তরাষ্ট্রে ১৯.৪ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষেত্রে ফেসবুক ব্যবহার করতে পারে না। তবে দেশটির ৩০ শতাংশই আবার কর্মক্ষেত্রে ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে।
* ফেসবুকে যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের বন্ধুদের গড় সংখ্যা ২৫০ জন।
* এশিয়াতে ফেসবুকের দৈনিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৫৩ মিলিয়ন। তবে জনবহুল দেশ হিসেবে পরিচিত চীনে ফেসবুক ব্যবহার নিষিদ্ধ রেখেছে দেশটির সরকার।
* ফেসবুকের সবচেয়ে বেশি আনফ্রেন্ড করা হয় স্কুলের বন্ধুদের।
* ৬৬ শতাংশ টিনেজ মেয়েদের অভিযোগ, তারা ফেসবুকে হেনস্থার শিকার হয়েছেন।
* একটি গবেষণার তথ্যমতে, ফেসবুকে প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জন ফেসবুক ভিজিট শেষে তাদের জীবন নিয়ে অসন্তুষ্টিতে ভোগেন।
* ফেসবুকে ১ কোটি অ্যাপস আছে। ২৫ কোটি ফেসবুক গেমস প্রতি মাসে খেলা হয়। ৫ কোটি ফেসবুক পেজ আছে। ১ ট্রিলিয়ন লাইক আছে।
* ফেসবুকে স্ট্যাটাস বক্সে আপনি যে কোনো কিছু লিখে তা পোস্ট না করে মুছে ফেললেও, সেটি ফেসবুক সার্ভারে জমা হয়ে যায়। অর্থাৎ স্ট্যটাস বক্সে একটি অক্ষর, শব্দ, বাক্য- যাই টাইপ করে থাকেন না কেন, সেটা পোস্ট না করে মুছে ফেললেও সার্ভারে জমা হয়ে যায়।
* ফেসবুকে একজন ব্যবহারকারী যেদিন রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে, সেদিন তার অন্যান্য পোস্টে ইন্টারঅ্যাকশনের পরিমাণ ২২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। তবে মাত্র ২৮ শতাংশ বিয়ের এক ঘন্টার মধ্যে রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে।
* ফেসবুক সবচেয়ে বেশি লাইক পাওয়া পেজ কিন্তু ফেসবুকের নিজস্ব অফিসিয়াল প্রোফাইল নয়। সবচেয়ে বেশি লাইক পাওয়া পেজ হল facebook for every phone, তারপর facebook, তিন নম্বরে youtube এর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ।
* বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফেসবুক ফ্যান আছে দ্য সিম্পসন-এর। এরপর আছে মি. বিন।
* তারকাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফেসবুক ফ্যান রয়েছে শাকিরার। এরপরে ফেসবুকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় জনপ্রিয় তারকা হিসেবে রয়েছেন এমিনেম ও রিহানা।
* বিশ্বব্যাপী বর্তমানে অন্যতম বড় মানসিক রোগের নাম ফেসবুক অ্যাডিকশন ডিসঅর্ডার বা ফ্যাড (FAD)। এই রোগের উপসর্গ হল- কারো ফোন না ধরা, কোথাও গিয়ে শুধু ফোন বা ট্যাবের দিকে চেয়ে থাকা। ক্ষুধামন্দা, অনিদ্রা, চাপা টেনশন সবই হয় এই ফ্যাড থেকে। বর্তমানে ৫০ লাখ মানুষ এই রোগের শিকার।
তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার ও জি নিউজ বাংলা
মন্তব্য চালু নেই