ফেসবুকে শুধু এই কাজটি করে খুলে যাচ্ছে লক্ষ টাকা উপার্জনের সুযোগ

ফেসবুক নিঃসন্দেহে বর্তমানে পয়লা নম্বর সোশ্যাল মিডিয়া। নতুন নতুন আপডেট সংযোজিত হয়েই চলেছে ফেসবুকে। এবার ফেসবুকের নতুন লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে জনপ্রিয় ভিডিও সাইট ইউটিউব-কে টেক্কা দেওয়া। আর সেই লক্ষ্যপূরণের পথেই খুলে যাচ্ছে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিপুল রোজগারের সুযোগ।

ফেসবুকে ভিডিও ফিচার যুক্ত হয়েছে বেশ কিছুদিন হল। বর্তমানে সরাসরি ভিডিও পোস্ট করা যাচ্ছে ফেসবুকে। লাইভ ভিডিও-ও বেশ জনপ্রিয় হয়েছে ফেসবুকে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভিডিও ফিচার যুক্ত হওয়ার পরে শুধু আমেরিকাতেই ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯৪ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে, আর সারা পৃথিবীতে ৭৪ শতাংশ বেড়েছে ফেসবুক গ্রাহকের সংখ্যা। ফেসবুকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকায় প্রতিদিন ১০ কোটি ফেসবুক ভিডিও দেখা হয়। আর আমেরিকার নেট ব্যবহারকারী মানুষদের মধ্যে ৭৬ শতাংশ মানুষ পছন্দসই ভিডিও খোঁজার জন্য ফেসবুকের দ্বারস্থ হন। ফেসবুকে ভিডিওর এই জনপ্রয়িতায় তুরুপের তাস হিসেবে কাজ করেছে অটো প্লে কৌশল।

বর্তমানে ফেসবুকে নিউজ ফিড স্ক্রল করতে থাকলে আপনা থেকেই ভিডিওগুলো চলতে আরম্ভ করে। ফলে দর্শককে আকর্ষণ করাও সহজ হয়। সেটিংগস-এ গিয়ে এই অটো প্লে অপশন অবশ্য অফ করে দেওয়া যায়, কিন্তু অধিকাংশ ফেসবুক গ্রাহকই সেই কৌশল জানেন না।

ফেসবুক ভিডিওর এই জনপ্রিয়তার ব্যবসায়িক দিকটিও লক্ষ্য করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তারা স্পষ্টই বুঝতে পারছে যে, ফেসবুকে ভিডিও জনপ্রিয় হওয়া মানে সাইটে আরও বেশি ‘হিট’ আসা। যার পরিণাম— অনিবার্য বাণিজ্যবিস্তার। সেই কারণে এখন থেকেই ফেসবুক লক্ষ লক্ষ ডলার খরচা করছে বিভিন্ন সেলিব্রিটিকে দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করে ফেসবুকে পোস্ট করার জন্য। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছর ভিডিও ফিচারের পিছনে ফেসবুক মোট ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে।

জানা যাচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যেই ভিডিও-তে বিভিন্ন ক্যাটেগরি সংযোজন করতে চলেছে ফেসবুক। ইউটিউবের আদলেই হতে চলেছে বিভিন্ন ভিডিও ক্যাটেগরি বিভাজন। এবং সেইসঙ্গেই খুলে যাচ্ছে ফেসবুক গ্রাহকদের রোজগারের সুযোগও। জানা যাচ্ছে, ফেসবুক থেকে রোজগার করতে চাইলে, গ্রাহকদের যা করতে হবে তা হল, একটি মৌলিক ভিডিও রেকর্ড করে তা পোস্ট করতে হবে ফেসবুকে। সেই ভিডিও যদি যথেষ্ট আকর্ষণীয় হয়, এবং সেই ভিডিও থেকে যদি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অর্থ রোজগার করতে পারে তাহলে সেই লভ্যাংশের ৫৫ শতাংশ চলে যাবে সেই ফেসবুক গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে যিনি ভিডিওটি তৈরি করে আপলোড করেছেন।

অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ মানুষদের রোজগারের এটি সুবর্ণ সুযোগ। কারণ এক্ষেত্রে বিনিয়োগ প্রায় শূন্য। মোবাইলে একটি ভিডিও রেকর্ড করতে কোনও অর্থব্যয় করতে হয় না। কিন্তু সেই ভিডিওই খুলে দিতে পারে রোজগারের রাস্তা। কাজেই সুচিন্তিতভাবে যদি ভিডিও তৈরি করে পোস্ট করে যাওয়া হয় ফেসবুকে, তাহলে প্রতি মাসে লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার করা সম্ভব বলে মত বিশেষজ্ঞদের।



মন্তব্য চালু নেই