ফুসফুসকে বিষমুক্ত করুন চটজলদি ১০ উপায়ে

প্রতিদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা শুরু করার আগে প্রয়োজন ক্যান্সারটি ভালোভাবে সনাক্ত করা। ব্রঙ্কাইয়াল এপিথেলিয়াম থেকে শুরু হয় বলে একে ব্রঙ্কাইয়াল লাং ক্যান্সারও বলে। প্রাথমিক পর্যায়ে এই ক্যান্সারের তেমন কোনও লক্ষণ দেখা যায় না বলে বেশিরভাগ রোগীই বুঝতে পারেন না এবং চিকিৎসা শুরু করতে দেরী করে ফেলেন। দীর্ঘদিন ধরে ধূমপান করলে ফুসফুসে বিষাক্ত পদার্থ জমে যায়, যা দেহের ভীষণ ক্ষতি করতে পারে। প্রতিদিন আপনাকে রাস্তার ধূলোবালি আর বিষাক্ত ধোঁয়া গিলতে হয় তাহলে তো কথাই নেই। আপনি চেষ্টা করেও এই পরিবেশে ফুসফুসকে বিষমুক্ত রাখতে পারবেন না।

সে ক্ষেত্রে আপনার জানা দরকার ফুসফুস পরিষ্কার করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে।

১. দুই থেকে তিনদিনের জন্য দুগ্ধজাতীয় সব খাবার গ্রহণ বাদ দিন। এমনকী, কফিও পান করবেন না। এই পদ্ধতিতে বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে।

২. রাতে ঘুমের আগে এক কাপ গ্রিন টি পান করুন।

৩.ঘুম থেকে ওঠার পর লেবু ও জল মিশিয়ে পান করুন। লেবুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফুসফুস পরিষ্কার পদ্ধতির জন্য জরুরি।

৪. সকালে ব্রেকফাস্টের সঙ্গে কিছু আনারসের জুস খান।

৫. সকালের ব্রেকফাস্টের পর গাজরের জুস পান করুন। এর ফলে রক্ত অ্যালকালাইজড হবে।

৬. দুপুরের খাবারের পর কলা খান। কলা পটাশিয়াম পরিষ্কারের প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে।

৭. রাতে ক্র্যানবেরির জুস পান করুন। এটা ফুসফুসের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।

৮. ব্যায়াম করুন, এতে প্রচণ্ডভাবে শ্বাস সঞ্চালন হবে। এই শ্বাসপ্রশ্বাস ফুসফুসকে স্বাভাবিক হতে সাহায্য করবে।

৯. ঘাম ঝরানোর মধ্য দিয়ে বিষাক্ত পদার্থ দূর করার জন্য সকালে স্টিম বাথ নিন।

১০. গরম জলের বাষ্পে ভাপ নিন। পারলে গরম জলে দুই ফোটা ইউক্যালিপটাসের তেল যোগ করুন। এই পদ্ধতিতেও শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায়।



মন্তব্য চালু নেই