ফার্নেস ওয়েলের দাম লিটারে ১৮ টাকা কমল

অবশেষে কমানো হলো জ্বালানি তেলের দাম। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথমে কমানো হলো ফার্নেস অয়েলের দাম। এই জ্বালানির দাম লিটার প্রতি ৬০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪২ টাকা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে এ কথা জানানো হয়।

এর আগে গত সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তেলের দাম কমানের বিষয়ে আলোচনা হয়।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের জানান, সরকার সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম পুনর্নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে। এক মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

তখনই জানানো হয়েছিল, প্রথমে কমানো হবে ফার্নেস অয়েলের দাম। এটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অন্যতম জ্বালানি। ফলে সরকারি মালিকানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন খরচ কমে যাবে। অবশ্য তাতে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ এটি করে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মূল্য সমন্বয় করা হবে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের কয়েক দফা দরপতনের পরও দেশের বাজারে দাম কমানো হয়নি। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ক্ষোভ ছিল। ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা বারবার দাম কমানোর পরমর্শ দিয়েছেন ৷

সূত্র জানিয়েছে, বেশি দামে তেল কিনে কম দামে বিক্রি করায় ১৯ বছরে বিপিসির লোকসান দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার কোটি টাকা। তবে গত দুই বছর ধরে লাভ করছে। গত অর্থবছরে (২০১৪-১৫) বিপিসি পাঁচ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। আর চলতি অর্থবছরে (২০১৫-১৬) ৭ হাজার কোটি টাকা লাভের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এরমধ্যেই অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মুনাফা হয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।

দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৫৫ লাখ মেট্রিক টন। যার প্রায় পুরোটাই আমদানি করা হয়। এ তেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় পরিবহন খাতে, ৪৫ শতাংশ। এছাড়া বিদ্যুৎ খাতে ২৫ শতাংশ, কৃষি খাতে ১৯ শতাংশ, শিল্প খাতে ৪ শতাংশ এবং গৃহস্থালী ও অন্যান্য খাতে ৭ শতাংশ।

বর্তমানে বিপিসি তেলভেদে প্রতি লিটারে ১৩ থেকে ৩০ টাকা পর্যান্ত লাভ করছে।

আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধির কারণে সর্বশেষ ২০১৩ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়। তখন পেট্রোল-অকটেন লিটার প্রতি ৫ টাকা এবং ডিজেল কেরোসিনের দাম ৭ টাকা করে বাড়ানো হয়েছিল। বর্তমানে প্রতি লিটার অকটেন ৯৯, পেট্রোল ৯৬, কেরোসিন ও ডিজেল ৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই