ফাইনালই জীবনের শেষ ওয়ানডে ক্লার্কের
ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপে খেলাটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল মাইকেল ক্লার্কের। তবে ইনজুরি কাটিয়ে বিশ্বকাপে জায়গা করে নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক।
সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছেন ক্লার্ক। আর ওয়ানডেকে বিদায় জানানোর মোক্ষম সুযোগ হিসেবে ফাইনালকেই বেছে নিলেন এই অসি অধিনায়ক। বিশ্বকাপের ফাইনালের পর আর রঙিন জার্সিতে দেখা যাবে না তাকে।
ফাইনালের আগের দিন শনিবার মেলবোর্নে সংবাদ সম্মেলনে ওয়ানডে থেকে অবসরের এ ঘোষণা দিয়েছেন ক্লার্ক। অসি অধিনায়ক বলেন, ‘আগামীকাল অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আমার শেষ ওয়ানডে হতে যাচ্ছে।’
দলের সতীর্থ, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেমস সাদারল্যান্ড, দলের প্রধান নির্বাচক রুড মার্শ এবং কোচ ড্যারেন লেম্যানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানান ক্লার্ক। তিনি বলেন, ‘আমি আমার সতীর্থ, জেমস সাদারল্যান্ড ও ড্যারেন লেম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাদের জানিয়েছি যে, আগামীকাল অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আমি শেষ ওয়ানডে খেলতে যাচ্ছি।’
২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে দলে অভিষেক হয় ক্লার্কের। ক্লার্ক বলেন, ‘আমি অনেক কৃতজ্ঞ। আগামীকাল আমার ২৪৫তম ওয়ানডে খেলব। এটা খুবই সম্মানের যে আমি এতগুলো ম্যাচে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি। আমি সকল খেলোয়াড়ের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি অনেক ভাগ্যবান যে তাদের সঙ্গে খেলতে পেরেছি।’
৭৩ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে ৪৯টিতে জিতেছেন ক্লার্ক। ৩৩ বছর বয়সি অসি অধিনায়ক বলেন, ‘আমি খুবই ভাগ্যবান যে চার বছর আগে ওয়ানডে অধিনায়কত্বের সুযোগ পেয়েছিলাম। যা বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিতে আমার জন্য ভালো প্রস্তুতি ছিল। আমি মনে করি, অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী অধিনায়কও এই সুযোগটি পাবে। আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত আমি ফিট থাকব, এটা ভাবা বাস্তবসম্মত হবে না। তাই আমি বিশ্বাস করি, এটাই আমার ওয়ানডে ছাড়ার সঠিক সময়।’
২০০৩ সালে অভিষেকের পর থেকে গত ১২ বছরে ২৪৪টি ওয়ানডে খেলেছেন ক্লার্ক। এতে তিনি রান করেছেন ৭ হাজার ৯০৭। তার ৪৪.৪২ গড়ের ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরি রয়েছে আটটি এবং ফিফটি ৫৭টি। সেরা ইনিংস ১৩০ রান।
ওয়ানডেকে বিদায় জানালেও টেস্ট ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন ক্লার্ক।
মন্তব্য চালু নেই