ফলাফলের ভিত্তিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামীতে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি, ১ ডিসেম্বর থেকে ক্লাস শুরু, ২০১৬ সালের শেষের দিকে প্রথম কনভোকেশন অনুষ্ঠান, র্যাকিংয়ের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে পুরস্কৃত করা, ২০১৭ সালের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণ আইটিভিত্তিক এবং ২০১৮ এর মধ্যভাগ থেকে সম্পূর্ণ সেশনজটমুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শনিবার দিনব্যাপী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীপুর ক্যাম্পাসে সিনেটের ‘১৭তম বার্ষিক অধিবেশন’ এ এইসব সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্বদ্যিালয়ের সিনেট হলে সিনেট চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। এতে মোট ৫০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ভাইস-চ্যান্সেলর তার অভিভাষণে এ পর্যন্ত কার্যকর হওয়া ২৮টি, বাস্তবায়নাধীন ৯টি এবং ভবিষ্যত কর্ম-পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১০টি পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। অধিবেশনে বার্ষিক রিপোর্ট এবং ১৮১ কোটি টাকার রাজস্ব ও ১৬৭৯ কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট পাস হয়।
এছাড়া সিনেট অধিবেশনে মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী তথা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ড. এম. এ বারীর নামে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভবন রয়েছে তার নাম অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে তার পরিবর্তে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কোনো বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করার প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
সিনেট অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ এমপি, মো. আব্দুল কুদ্দুস এমপি, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. শরীফ এনামুল কবির, ইউআইটিএস’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আল মাসুদ হাসানউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুন, ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইন্সটিটিউটের সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) সভাপতি অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য চালু নেই