না.গঞ্জ সাত খুন
ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তার নূরের সহযোগী চার্চিল
নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সেভেন মার্ডারের প্রধান আসামি নূর হোসেন অন্যতম সহযোগীকে মর্তুজা জামান চার্চিলকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
শুক্রবার ভোর রাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থ-চ্যানেল ইউনিয়নের দুর্গম চরাঞ্চলের ৩৮ দাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত চার্চিল জেলার সদর উপজেলার ভাটি লক্ষ্মীপুর গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে।
ফরিদপুর ডিবি পুলিশের ওসি সুনীল কর্মকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার নর্থ-চ্যানেল ইউনিয়নের পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের ৩৮ দাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নারায়ণগঞ্জের সেভেন মাডারের পরে তিনি পালিয়ে নর্থ-চ্যানেল চর এলাকায় দ্বিতীয় স্ত্রীর লিপির বাড়িতে পালিয়ে ছিলেন। চার্চিল নূর হোসেনের মাদক ব্যবসা দেখভাল করতো।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে একসঙ্গে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। পরদিন ২৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী। মামলায় কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান করে মোট ১২ জনকে আসামি করা হয়।
গত ৩০ এপ্রিল বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয় জন এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সবারই হাত-পা বাঁধা ছিল। পেটে ছিল আঘাতের চিহ্ন। প্রতিটি লাশ ইটভর্তি দুটি করে বস্তায় বেঁধে ডুবিয়ে দেয়া হয়। গত ৩ মে নূর হোসেনের সিদ্ধিরগঞ্জের বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার এবং রক্তমাখা মাইক্রোবাস জব্দ করে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় আরো ৭ জনকে। সর্বশেষ ৬ জুন শুক্রবার এ মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের অন্যতম সহযোগী চার্চিলকে ফরিদপুর থেকে গ্রেপ্তা করা হয়।
মন্তব্য চালু নেই