ফরিদপুরে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী উধাও

ফরিদপুর শহরের চরকমলাপুর এলাকায় স্ত্রী শিখা বেগম (৩০) কে নৃসংশ ভাবে খুন করে তিন সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে গেছে পাষন্ড স্বামী সজিব সরদার। এ ঘটনায় পুলিশ স্বামী সজিব সরদারকে আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর আগে ব্যাংক কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের টিনসেট বাসা ভাড়া নেন সজিব ও শিখা দম্পত্তি। সজিব ভ্যান চালিয়ে সংসার চালিয়ে আসছিল। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। সজিব ও শিখা দম্পত্তির তিন সন্তান রয়েছে। রবিবার রাতে শিখাকে বেদম ভাবে মারপিট করে স্বামী সজিব।

এ নিয়ে বাড়ীর অন্যান্য ভাড়াটিয়া ও আশ পাশের লোকজন এগিয়ে এলে সজিব তাদের আজেবাজে কথা বলে সরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে রাত দেড়টার দিকে শিখা বাঁচাও, বাঁচাও বলে চিৎকার করলেও আশপাশের কেউ সজিবের খারাপ আচরনের কারনে এগিয়ে আসেনি। পরবর্তীতে সোমবার সকালে স্থানীয়রা ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় শিখার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মোহসিনুল হক জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে, হাতুর দিয়ে মাথায় আঘাত করার পর গলায় ফাঁস দিয়ে শিখাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর শিখার স্বামী সজিব সরদার তার তিন সন্তান ৮ বছর বয়সী শুভ, ৫ বছর বয়সী সোহাগ ও ২ বছর বয়সী সেলিমকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। তাকে ধরার জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।

এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। এদিকে, শিখা খুন হবার পর কামরুল ইসলামের অন্যান্য ভাড়াটিয়া পালিয়ে গেছে। কি কারনে তারা পালিয়েছে সে বিষয়েও পুলিশ তদন্ত করছে। খুন হওয়া শিখার বাড়ী ঢাকার দোহারের রায়পাড়া ইউনিয়নের নটাখোলা গ্রামে। তার পিতার নাম আবদুল খালেক। শিখার ঘাতক সজিব সরদারের সর্ম্পকে স্থানীয়রা কিছুই জানাতে পারেনি।



মন্তব্য চালু নেই