ফরিদপুরে জম-জমাট ঈদ বাজার

আর মাত্র ৫দিন বাকি পবিত্র ঈদুল ফিতরের। আর এই ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটায় জমে উঠেছে ফরিদপুরের বিভিন্ন শপিংমল ও নিউমার্কেটসহ মুদি দোকান গুলো। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এসব শপিংমলগুলোসহ বাজারে চলছে জমজমাট ঈদ বাজরের বিকিকিনি। এটা শুধু শহর কেন্দ্রিক থেমে নেয় এটা উপজেলা শহর, হাট-বাজার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে বিকিকিনি।

ফরিদপুরের অভিযাত বিপনি বিতানগুলো মধ্যে নিউ মার্কেট, মাছরাঙ্গা সুপার শপ, নকশি কাঁথা, বলাকা সুপার মার্কেট ও গোলপুকুর ড্রিম শপিং সেন্টার ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও নিম্ন আয়ের মানুষেরা আদর্শ মার্কেটে তাদের কেনাকাটা করছেন। দশ রমজানের পর থেকে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে। মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে দেশি-বিদেশি পোশাকের বাহারী সমাহার। তবে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও মেয়েদের জন্য ইন্ডিয়া, পাকিস্তান ও চীনের নানা ধরনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে শপিং সেন্টারগুলোতে।

এছাড়াও প্রতি বছরের মতো এবারও বলিউড চলচিত্রের নায়িকা ও হিন্দি সিরিয়ালের নামের পাশাপাশি জনপ্রিয় চরিত্রের নামে যেমন, কিরন মালা, ফ্লোর টার্চ, মুদি, পাখি, সাজনা, অপ্সরা, গোপী, হাতিজা, বুটিক জয়পুরি ইত্যাদি। তবে এবছর সবচেয়ে মেয়েদের পোশাকের মধ্যে কিরন মালা ড্রেসের চাহিদ বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও ধুপিয়া কাতান, বেনারশী, সেটিং পাটি শাড়ী বেশি বিক্রি হচ্ছে ফরিদপুরের শপিংমলগুলোতে। তবে দেশীয় টাংগাইলের শাড়ির চাহিদাও বেশ। মহিলারা নিজেদের পছন্দের পোশাকের পাশাপাশি ম্যাচিং করে কসমেটিকস ও পার্স (ব্যাগ) ক্রয় করছেন।

এছাড়াও শিশু, ছেলে ও পুরুষদের জন্য রয়েছে পাঞ্জাবি, গেঞ্জি ও শার্ট এবং মহিলাদের জন্য রয়েছে দেশি-বিদেশি বাহারী রঙ্গের শাড়ি। নকশী কাথাঁ শপিং সেন্টারের সেলসম্যান রতন সাহা বলেন, এবারের ঈদে ছেলেদের জীন্সের প্যান্ট, গেঞ্জি, জামা সবই বিক্রি হচ্ছে ভালো এছাড়া মেয়েদের সবচেয়ে পছন্দের পোশাক হচ্ছে কিরণ মালা, ফ্লোর টার্চ এবং মহিলাদের পছন্দের মধ্যে ইন্ডিয়ান কাতান, সাউথ কাতান ও বেনারশী খুব ভালো বিক্রি হচ্ছে। ফরিদপুর নিউমার্কেটের জেনারেল সপের মালিক টুটুল কুন্ড জানান, আমাদের বেচা বিক্রি খুবই ভালো হচ্ছে। আমাদের দোকানে বেশীর ভাগ জামা প্যান্টের পিচ্ কিনতে আসছে গতবারের তুলনায় ভালো বিক্রি তবে বৃষ্টির জন্য একটু সমস্যা নইলে আরো বেশী বিক্রি বাড়তো।

এদিকে মার্কেট ঘুড়ে দেখা গেল ক্রেতারা সাচ্ছন্দে মার্কেটে আসছে পছন্দের পোশাক কিনতে। দিন যতই যাচ্ছে বেচাকেনা ততোই বাড়ছে এই শেষ দিকে। ক্রেতারা জানালেন, গত বছরের চেয়ে এ বছর পোশাকের মূল্য কিছুটা বেশি হলেও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আছে।

এদিকে ক্রেতাদের র্নির্বিগ্নে কেনাকাটা ও যানজোট মুক্ত ভাবে চলাচলের জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর রয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি । দিন রাত শহরের ওলি গলি পাহারা দিচ্ছে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যারা। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের দিক নির্দেশনায় শহরকে যানজোট মুক্ত রাখতে ট্রাফিক ব্যবস্থার পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে শহরের যানজট অনেকটা লাগব হয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ সার্জন মো. তুহিন জানান, যানজট নিরসনে অতিরিক্ত ২০ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করছে। শহরের মধ্যে চলাচলরত সকল গাড়িকে ওয়ানওয়ে করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই