ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সরকারী হাসপাতালে নেই অজ্ঞানের ডাক্তার; বাড়ছে প্রসূতি মায়েদের মৃত্যু ঝুকি!

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার সরকারী হাসপাতালে নেই কোন অজ্ঞানের ডাক্তার ফলে উপজেলার প্রসূতি মায়েরা রয়েছে মৃত্যু ঝুকিতে। ভাঙ্গা উপজেলায় প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৪০-৫০ জন প্রসূতি মায়ের সিজারের দরকার হয়। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন ১/২ টা সিজারের দরকার হয়। অথচ হাসপাতালে অজ্ঞানের ডাক্তার না থাকায় এদেরকে ভাঙ্গার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে, কখনো বা ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে যেতে হয়। এতে যেমন বেশী টাকা খরচ হয় অন্যদিকে জরুরী অপারেশনের দরকার হলে পড়তে হয় জীবন মরন সমস্যায়। এই সুযোগ ব্যবহার করছেন দু-একজন হাতুড়ে ডাক্তার ফলে হরহামেশা ঘটছে নানা রকম অঘটন। বাংলাদেশের মত একটি উন্নয়নশীল দেশে এই অবস্থা সাধারন মানুষ প্রত্যাশা করে না।

এ ব্যাপারে হতাশ ভাঙ্গা উপজেলার জনগন। কয়েকজন প্রসূতি মা আক্ষেপ করে বললেন যদি সময়মত চিকিৎসাই না হয় তাহলে হাসপাতাল থেকে লাভ কি ? আসলে এ অবস্থা থেকে মুক্তি চায় ভাঙ্গাবাসী এ ব্যাপারে ভাঙ্গা হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ ইমরান আলী বলেন আমাদের হাসপাতালে প্রায় এক বছরের বেশী সময় ধরে অজ্ঞানের ডাক্তার নেই। উপর মহলে অনেক লেখালেখি করেও সম্ভব হয়নি একজন অজ্ঞানের ডাক্তার পাওয়ার। তাই এলাকার মায়েদের কথা চিন্তা করে আমরা একজন ডাক্তারকে প্রশিক্ষনের জন্য ফরিদপুর পাঠিয়েছি ইতি মধ্যে তার মাধ্যমে একটি সিজারও করা হয়েছে। আশা করি অচিরেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে।



মন্তব্য চালু নেই