প্রেম বা দাম্পত্যে এই ৩টি কাজ করছেন? তাহলে ভবিষ্যতে ডিভোর্সের সম্ভাবনা প্রবল

যে কোনও প্রেম কিংবা দাম্পত্য সম্পর্কের সাফল্য বহুলাংশে নির্ভর করে দু’টি মানুষের পারস্পরিক সংযোগের গভীরতার উপর। সে আপনাকে বুঝতে পারবে, আপনার মতামতকে গুরুত্ব দেবে, আপনিও জানবেন তার ভাল লাগা, খারাপ লাগাগুলো— এইভাবেই তো দু’জনের সংযোগ বা কমিউনিকেশন দৃঢ় হয়, গভীর হয়ে ওঠে সম্পর্ক। কিন্তু অনেক সময়েই এই পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্যে তৈরি হয় এমন একটা ভুলের আবর্ত, যে আবর্ত থেকে বেরতে পারেন না প্রণয়যুগল। পারস্পরিক সংযোগের জায়গায় একটা এমন একটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয় যে, শেষ পর্যন্ত সম্পর্কটাই ভেঙে যায়। সম্পর্কের যে এহেন অপ্রীতিকর একটি পরিণতি হতে পারে, তা কি আগাম বোঝা যায়? রিলেশনশিপ এক্সপার্ট ডাক্তার সিউ জনসন তাঁর ‘হোল্ড মি টাইট’ বইতে জানাচ্ছেন, যায়। যদি প্রেমিক-প্রেমিকার পারস্পরিক কথাবার্তায় তিনটি বিশেষ লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে ডিভোর্স কিংবা চিরবি

চ্ছেদের মধ্যে দিয়ে তাঁদের সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কোন তিনটি লক্ষণের কথা তিনি বলছেন? আসুন, জেনে নিই—

১. আপনার দাবি বা প্রতিবাদের উত্তরে তিনি নির্বিকার থাকেন:
যাঁকে ভালবাসেন, তাঁর কাছে আপনার দাবিদাওয়া যেমন থাকবে, তেমনই তাঁর কোনও কাজ বা মতামত আপনার পছন্দ না হলে আপনি প্রতিবাদ করবেন— এটাই স্বাভাবিক। খেয়াল করুন, আপনার দাবিদাওয়া বা আপনার প্রতিবাদের উত্তরে আপনার সঙ্গী/সঙ্গিনীর প্রতিক্রিয়া। তিনি কি একেবারে চুপ করে যাচ্ছেন, কিংবা উদাসীন থাকছেন, কিংবা প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন? এটা কিন্তু আপনার চিন্তাচেতনা সম্পর্কে তাঁর তাচ্ছিল্যের মনোভাবের পরিচায়ক। আপনার চাহিদাগুলো তাঁর কাছে মূল্যহীন কিংবা তিনি আপনার মতামতকে গুরুত্ব দেন না বলেই, আপনার কথার বিপরীতে নিরুত্তর কিংবা উদাসীন থাকেন। এমন মানুষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ঘর করা কঠিন।

২. যে কোনও সমস্যার জন্য তিনি আপনাকে দায়ী করেন:
জীবনে তৈরি হওয়া যে কোনও সংকট, বা সম্পর্কে জন্ম নেওয়া যে কোনও সমস্যার জন্য তিনি কি দোষ চাপান আপনার ঘাড়ে? এমনটা যদি হয়, তাহলে তা কিন্তু তাঁর নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে তাঁর অসচেতনতার প্রমাণ। আপনার পার্টনার নিজের দায়িত্বটুকু স্বীকার করতে প্রস্তুত নন। আর সেই কারণেই বার বার যে কোনও বিষয়ে তিনি আপনাকে দায়ী করেন। একজন কিংবা দু’জনের মধ্যেই বাসা বেধে থাকা এই ত্রুটি কিন্তু সম্পর্কের দীর্ঘস্থায়িত্বের পথে বড় বাধা।

৩. তিনি কথায় কথায় ব্রেক আপের প্রসঙ্গ তোলেন:
কোনও একটা বিষয়ে সামান্য কথা কাটাকাটি হল, কিংবা মান-অভিমানের জোয়ার বয়ে গেল, আর ওমনি কি আপনার সঙ্গী/সঙ্গিনী, ‘নাঃ, আর তোমার সঙ্গে থাকা যাচ্ছে না’ বলে ব্রেক আপের প্রসঙ্গ তোলেন? যদি উত্তর হয় ‘হ্যাঁ’, তাহলে জেনে রাখুন, তিনি মোটেই দীর্ঘ দিনের জন্য আপনার উপযুক্ত পার্টনার হতে পারেন না। কারণ তাঁর মধ্যে কমিটমেন্টের বড় অভাব, সমস্যা সমাধানের তুলনায় সমস্যাকে এড়িয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী তিনি। আর যিনি কমিটেড নন, তিনি কীভাবে সারা জীবন সঙ্গ দেবেন আপনাকে? কাজেই এমন প্রেমিক/প্রেমিকাকে ভরসা করার আগে দু’বার ভাবা উচিত।

এই নিয়মগুলো অবশ্য আপনার নিজের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যদি আপনার আচরণে এই তিনটি লক্ষণের কোনও একটি কিংবা একাধিক দেখা যায়, তাহলে নিজেকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করুন। নাহলে কিন্তু ভেঙে যেতে পারে ভালবাসার সম্পর্ক।



মন্তব্য চালু নেই