প্রেমিকের খাবারে নিজের অশুদ্ধ রক্ত মেশাতেন কঙ্গনা

অভিনেতা হৃতিক রোশান এবং কঙ্গনা রাণৌতর মধ্যে বিতর্ক যেন থামছেই না। একের পর এক গোপন তথ্য ফাঁস হচ্ছে এ দুজনকে ঘিরে।

গত ২৬ এপ্রিল প্রকাশিত হয় হৃতিক এবং কঙ্গনার ঘনিষ্ঠ একটি ছবি। যেখানে দেখা যায় হৃতিক কঙ্গনাকে জাপটে ধরে আছেন। সবাই যখন এ ছবি দেখে ধরেই নিয়েছিলেন কঙ্গনার সঙ্গে প্রেমে মজেছিলেন হৃতিক, ঠিক তখনই প্রকাশ পায় আরো কিছু ছবি। এবার ছবিগুলো প্রকাশ করা হয় হৃতিকের পক্ষ থেকে। সেখানে দেখা যায় একটি পার্টিতে ছবি তুলেছেন হৃতিক-কঙ্গনা এবং তাদের পাশে আছেন হৃতিকের স্ত্রী সুজান। সব মিলিয়ে কোন ছবিটি ঠিক এবং কোনটি ভুয়া তা নিয়ে যখন বলিপাড়ায় আলোচনা তুঙ্গে ঠিক সেই মুহূর্তে কঙ্গনার সাবেক প্রেমিক দিলেন আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার ভাষ্য হলো ব্ল্যাক ম্যাজিক করেন কঙ্গনা রাণৌত।

অভিনেতা শেখর সুমনের ছেলে আদিত্য অধ্যায়ন সুমনের সঙ্গে প্রেম করতেন কঙ্গনা। সম্প্রতি ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অধ্যায়ন জানান কঙ্গনা তাকে ব্ল্যাক ম্যাজিক করত।

তিনি বলেন, ‘‘কঙ্গনা আমাকে পল্লবী নামের একজন জ্যোতিষীর কাছে নিয়ে যেত। সেই জ্যোতিষী সব সময় আমার সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলত এবং কঙ্গনা সম্পর্কে ইতিবাচক কথা বলত। তিনি আমাকে বলতেন, আমার সময় ভালো যাচ্ছে না। আমি যদি কিছু পূজা করি তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি এগুলো বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু কঙ্গনা জোর করায় আমি রাজি হই।

একদিন কঙ্গনা আমাকে তার বাড়িতে ডাকে। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে আমি তার বাড়িতে পৌঁছাই এবং রাত ১২টার দিকে পূজা শুরু হয়। তার অ্যাপার্টমেন্টে একটি গেস্ট রুম আছে। সে রুমটি কালো পর্দা দিয়ে ঢেকে রেখেছিল। সে আমাকে কয়েকটি মন্ত্র পড়তে বলে। আমি ভয় পেয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে যাই। এরপর সে প্রায়ই আমাকে পল্লবীর কাছে নিয়ে যেত। একদিন পল্লবী আমাকে কবর থেকে রাত ১২টার সময় কয়েকটি জিনিস আনতে বলে। এরপর আমি আর পল্লবীর ওখানে যাইনি।

আমি ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এ অবস্থা দেখে আমার মা খুব চিন্তিত হন। তিনি আমাদের পারিবারিক পণ্ডিতকে ডেকে পাঠান। পণ্ডিত এসে আমাকে জিজ্ঞেস করেন সে (কঙ্গনা) আমার জন্য খাবার বানাত কিনা? আমি জবাবে ‘হ্যাঁ’ বলি। এরপর তিনি বলেন, কঙ্গনা আমার খাবারে নিজের অশুদ্ধ রক্ত মেশাত।’’

কঙ্গনা ব্ল্যাক ম্যাজিক সম্পর্কে কিছু বলত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যায়ন সুমন বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি শহরের ছেলে এবং লন্ডন এবং নিউইয়র্কে পড়ালেখা করেছি তাই জ্যোতিষশাস্ত্র বা ব্ল্যাক ম্যাজিকে বিশ্বাস করি না। আমি সব সময় এগুলো থেকে দূরে থাকতাম। কঙ্গনা আমাকে দিয়ে কিছু পূজা করানোর পর খেয়াল করলাম, আমি শুধু একজনকেই বুঝতে পারছি। আর সে হলো কঙ্গনা। সে হিমাচল প্রদেশের মেয়ে এবং সে সেখানে প্রায়ই পূজা করতে যেত। আমার গণক আমাকে বলেছিল, আমার সঙ্গে অনেক খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে। সে আমাকে কঙ্গনার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতেও বলেছিলেন।’

অধ্যায়ন সুমন আরো বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ার সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যায়। আমি রাজ-টু সিনেমা করেছি যা ব্যবসাসফল ছিল। কিন্তু কেউ আমার কোনো খোঁজ করেনি। আমি আমার শেষ দেখতে পাচ্ছিলাম। আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাচ্ছিল, অন্য দিকে কঙ্গনা একের পর এক সাফল্য পাচ্ছিল। সেই দিনগুলোর কথা মনে হলে এখনো আমি শিউরে উঠি।’

রাজ-দ্যমিস্ট্রি কন্টিনিউস সিনেমায় অভিনয়ের সময় থেকেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অধ্যায়ন এবং কঙ্গনা। ২০০৯ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এক বছর ছিল তাদের সম্পর্ক। এরপরই ছাড়াছাড়ি হয় তাদের। অধ্যায়নের দাবি কঙ্গনা তাকে ব্যবহার করে এবং পরে হৃতিকের দিকে ঝুঁকে পড়ে।



মন্তব্য চালু নেই