প্রেমিকাকে বিয়ের লোভ দেখিয়ে অমানুষিক নির্যাতন প্রেমিকের

শেরপুরের প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেছে ওই মেয়ের প্রেমিক সোহেল ও তার পরিবারের সদস্যরা। রবিবার সকালে শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নের কোকরা পাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এনিয়ে প্রেমিকার মামা তাতিহাটি ইউপি সদস্য আব্দুল আলী শ্রীবরদী থানাকে জানালে থানা কর্তৃপক্ষ কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন।

পরে প্রেমিকের বাড়ি থেকে গুরুতর আহত ও অজ্ঞান অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় ওই মেয়েকে স্থানীয় জনগণ ও তার আত্মীয় স্বজন উদ্ধার করে শ্রীবরদী হাসপাতালে ভর্তি করে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নের কোকরার পাড় গ্রামের ইয়াছিন আলীর কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের নাদের হোসেনের কলেজ পড়ুয়া ছেলে সোহেল মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ দেড় বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উভয়ের বাড়ি একই গ্রামে হওয়ায় তারা মাঝে মধ্যেই একে অপরের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ ও মোবাইল ফোনে কথা বলত। গত শনিবার রাতে প্রেমিক সোহেল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই মেয়েকে তাদের বাড়িতে ডেকে আনে। ঘটনাটি জানাজানি হলে সোহেল বিয়ে করতে অস্বীকার করে এবং রাতেই বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

খবর পেয়ে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম ও এলাকাবাসী সোহেলের বাড়িতে ওই মেয়েকে রেখে আসে এবং পরের দিন রবিবার সকালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলে। কিন্তু রাতেই প্রেমিক সোহেল তার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে পরামর্শ করে গা ঢাকা দেয়।

রবিবার সকালে সোহেলের বাবা-মা, ভাই-বোন, ভাবি ও চাচা ওই প্রেমিকাকে বেধরক মারপিট করে। মারপিটের কারণে ওই মেয়ে হয়ে পড়ে। পরে অজ্ঞান অবস্থায় মেয়েটিকে বাড়ির বাহিরে ফেলে রাখে।

খবর পেয়ে ওই মেয়ের আত্মীয় স্বজন ঘটনাস্থলে আসে এবং তাকে উদ্ধার করে শ্রীবরদী হাসপাতালে ভর্তি করে। এনিয়ে এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।



মন্তব্য চালু নেই