প্রাথমিকে সমাপনী পরীক্ষা বন্ধে প্রস্তাব যাচ্ছে মন্ত্রিসভায়
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা বন্ধের সুপারিশ করে মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব পাঠাচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা এবং বাস্তবতা শীর্ষক’ সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক সমাপনী একটাই হওয়া উচিৎ। যেহেতু প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করা হয়েছে, সে ক্ষেত্রে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে হওয়াই যৌক্তিক। পঞ্চম শ্রেণি থেকে পিইসি পরীক্ষা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সারসংক্ষেপ আমরা ক্যাবিনেটে পাঠাবো।’
তিনি বলেন, ‘পিইসি পরীক্ষার প্রচলন ক্যাবিনেট থেকে করা হয়েছিল। এবং এটা বাতিল বা অন্য যা কিছু, সব ক্ষমতা ক্যাবনেটের।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি এ বছর থেকেই পিইসি বন্ধ করা হোক।’
সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রাথমিক সমাপনী মূল্যায়ন পরীক্ষা। এ বছর বন্ধ না হলে, ক্ষতি তো নেই। এ বছর বন্ধ হলে কি তারা পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা দেবে না? পিইসি তো মূল্যায়ন পরীক্ষা। অন্যান্য ক্লাসে যেমন পরীক্ষা নেয়া হয় পঞ্চম শ্রেণিতেও একই পরীক্ষা নেয়া হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি তো ভিনগ্রহে থাকি না। জনমানুষের কথা আমরা উপলদ্ধি করি। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা পিইসি বন্ধের এ প্রস্তবনার সারসংক্ষেপ ক্যাবিনেটে পাঠাবো। ক্যাবিনেটের ঘোষণা যা হয় তাই বাস্তবায়ন করা হবে।’
উল্লেখ্য, পিইসি পরীক্ষা বন্ধে বছরের শুরু থেকে মানববন্ধন করে আসছে আভিভাবকরা। ধীরে ধীরে পিইসি বন্ধ তাদের দাবিতে রূপান্তরিত হয়। এ দাবি বাস্তবায়নে বিভিন্ন সময় মানববন্ধের পাশপাশি বিক্ষোভ মিছিলও করেছে অভিভাবকরা।
অভিভাবকদের দাবি, পিইসি পরীক্ষার কারণে শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। স্কুলে স্কুলে কোচিং বাণিজ্যের দৌরাত্ম বেড়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত পড়ার চাপ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অতিরিক্ত অর্থ খরচ ইত্যাদি কারণে অভিভাবকরা পিইসি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। ১৮ মে প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত করায় তাদের এ দাবি আরো জোরালো হয়।
মন্তব্য চালু নেই