প্রাণ ফিরছে হাওরে
টানা বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে তিন সপ্তাহ আগে অকাল বন্যায় হাওরের হাজার হাজার হেক্টর জমির ধান তলিয়ে যায়। এরপর পানি দূষিত হয়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি মাছের মড়ক দেখা দেয়। হাওরের পানির দূষণ মাছ ও প্রাণীর বসবাসের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে গত তিন-চার দিনে টানা বৃষ্টি প্রকৃতির খেয়ালেই যেন সুখবর নিয়ে এসেছে হাওরে।খবর পরিবর্তনের।
হাওর অধ্যুষিত এবং দূষণে আক্রান্ত দুই প্রধান জেলার মৎস্য কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আপাতত আর মাছ হাঁসের মড়কের আশঙ্কা নেই। বিপদ যতটা ছিল তা প্রায় কেটে গেছে। দূষিত গ্যাস বা রাসায়নিক যাই থাকুক না কেন তা এরইমধ্যে পানির সঙ্গে পুরোপুরি মিলে অনেকটাই অকার্যকর হয়ে গেছে।
নেত্রকোনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আশরাফ উদ্দিন আহম্মেদ টেলিফোনে জানান, গত সপ্তাহে ১৭ এপ্রিলও হাওরের পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা ছিল মাত্র দশমিক শূন্য দুই ভাগ। যা মাছ ও প্রাণী টিকে থাকার জন্য একেবারেই অপর্যাপ্ত। কিন্তু রোববার পরীক্ষা করে এই পরিমাণ পাওয়া গেছে ৫ দশমিক এক থেকে দুই ভাগ। যা মাছের উপযোগী বলে জানান আশরাফ উদ্দিন।
তিনি বলেন, যদি বৃষ্টি এমন হতে থাকে তাহলে যেটা গ্যাস ছিল তা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে। ফলে পরিবেশ আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাবে। তা হবে মাছের উপযোগী।
এই পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য মন্ত্রণালয়ের গঠন করা উচ্চ পর্যায়ের যে তদন্ত গত প্রায় এক সপ্তাহ হাওরাঞ্চলে কাজ করেছে সেটি আজ (সোমবার) মন্ত্রণালয়ে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবস্থাটা উন্নতি হয়েছে। ইতোমধ্যে যে ক্ষতি হওয়ার তাতো হয়েই গেছে। মাছ, হাঁস যা মারা গিয়েছে সেগুলোতো আর ফিরে পাওয়া যাবে না। তবে মাছ-হাঁস এখন যা আছে তা হয়তো আর ক্ষতি হবে না।
মন্তব্য চালু নেই