“প্রাণহীন” বাংলাদেশের বাঁচা-মরার লড়াই
ত্রিভান্দ্রাম এখন উৎসবে মেতে আছে। কেরালার এই অংশটায় প্রচুর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকের বসবাস। বাংলাদেশ যে হোটেলে উঠেছে, তার লবিতে দাঁড়িয়ে একটু দূরে তাকালেই আলোর রোশনাই চোখে পড়ে। দুই দিন ধরে দূর থেকে ভেসে আসছে অনাবিল এক প্রাণের ছোঁয়া। এমন উৎসবের মাঝে বাংলাদেশ ফুটবল দলের সবাই কেমন মনমরা! যেন প্রাণহীন জড় বস্তু। এই দলটা আজ সাফ ফুটবলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে। বাংলাদেশ সময় বিকেল চারাটায়। হারলেই বিদায়।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে চার গোলে হারার পর বাংলাদেশের জয়ের ক্ষুধা দ্বিগুণ মরে গেছে। এটা কথার কথা নয়; খোদ অধিনায়কের কথা, ‘জয়ের ক্ষুধা তরুণদের ভেতর বেশি থাকার কথা। তাদের ভেতর তো নয়ই, অন্যদের ভেতরও সেই তাড়না দেখতে পাচ্ছি না।’
মামুনুল মারাত্মক কথা স্বীকার করে নিলেও কোচ চাইছেন সবাইকে তাতিয়ে রাখতে, ‘একটা ম্যাচ হারা মানেই বিদায় নয়। সুযোগ আছে সেমিফাইনালে যাওয়ার। বাকি দুটি ম্যাচ জিততে পারলেই হবে।’
তবে মারুফুলও আকারে ইঙ্গিতে বলে দিলেন দলের দুই-একজনের খেলায় তিনি সন্তষ্টু নন, ‘প্রথম ম্যাচে কয়েকজনের খেলা আমাকে অবাক করেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে মাঝমাঠে পরিবর্তন আনতে হবে। ডিফেন্সে নাসির ইনজুরিতে পড়ায় ওখানে অন্য কাউকে দিতে হবে।’
ভিন্ন ভিন্ন কথার ফাঁকে নাসির মনে করিয়ে দিলেন অতীতের মধুর স্মৃতি, ‘হেরে শুরু করার রেকর্ড তো আমাদের আজকের নয়। দীর্ঘ দিন থেকেই এমনটা হচ্ছে, তবে পরে ভালোও করেছি। এবারও তাই করব।’
নাসির কি এ কথা বলার জন্য বলছেন, নাকি করার জন্যই বলছেন? উত্তর তো এখনি পাওয়া যাচ্ছে না। অপেক্ষা বিকেল পর্যন্ত করতেই হচ্ছে!
মন্তব্য চালু নেই