প্রাকৃতিক খাবারেই উপভোগ করুন দাম্পত্য জীবন

বিয়ের আগে ও পরে অনেকেই শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। এই বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে নিজেকে শারীরিক সম্পর্কের অযোগ্যও ভাবেন। ফলে অনেকেই বিয়ের আগে থেকেই নিজেকে তৈরি করতে ভুল চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ করেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, সহজলভ্য প্রাকৃতিক কিছু খাবার আছে যা আপনার শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারে সামগ্রিক দুশ্চিন্তা দূর করে দাম্পত্য জীবনকে সুখময় ও দীর্ঘায়িত করবে। তবে দাম্পত্য সুখের জন্য সঙ্গীর সঙ্গে পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করাও উচিত।

আপ্রোডিসিয়াক বা কামোদ্দীপক (গ্রিক শব্দ অ্যাপ্রোডিট- গ্রিসের ভালোবাসার দেবতা) খাবার কামানুভূতি জাগায় এবং নারী-পুরুষের যৌন গ্রন্থিগুলো উদ্দীপ্ত করে দাম্পত্য জীবনকে মধুময় করে তোলে। এখানে কিছু খাবারের কথা উল্লেখ করা হলো যা প্রাকৃতিকভাবে যৌন জীবনকে প্রভাবিত করে।

চকোলেট: দীর্ঘদিন ধরেই চকোলেটকে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বলা হয়ে থাকে, চকোলেট খাওয়ার পর নারীদেহে চারগুণ ইনড্রোফিন উৎপাদন করে যা প্রগাঢ় শারীরিক সুখ প্রদান করে। আপনি ইচ্ছা করলে, নিজের ও সঙ্গীর উদ্দীপনাকে রঙ্গিন করে গড়ে তুলতে পারেন নতুন নতুন ও মজাদার সব চকোলেট খেয়ে।

কমলা: মজার ও লোভনীয় একটি ফল হচ্ছে কমলা। চকোলেটের একটি ভাল বিকল্প হতে পারে কমলা। যা দম্পতিদের মধ্যে উপভোগ্য একটি সম্পর্ক গড়ে তুলবে।

শতমূলী: উনবিংশ শতাব্দীর দিকে বিয়ের আগের রাতে ফ্রান্সের বিয়ের পাত্রদের শতমূলীর জুস খাওয়ানো হতো। অনেকেই এই বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ খাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন, কারণ এটি নারী-পুরুষের উভয়ের মধ্যে তীব্র আকর্ষণ তৈরি করে। শতাব্দী ধরে বহু প্রাচীন যৌন বিজ্ঞানী ও ভ্যান ডি ভেলডি’র মতো গবেষকরা দাম্পত্য সুখ প্রদানে শতমূলীর তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেছেন। শতমূলী উদ্ভিদটিতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম, ভিটামিন-এ, থায়ামিন, এবং ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। যা শরীরে হিস্টামিন নামক উপাদান বৃদ্ধি যা নারী-পুরুষের উভয়েই চূড়ান্ত সুখ লাভ করে।

ডিম: আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের মানসিক ও শারীরিক চাপে থাকি। আপনি মনে করতে পারবেন, সর্বশেষ কবে ধীরে সুস্থে, চাপহীনভাবে আপনার সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক উপভোগ করেছেন? প্রতিনিয়ত কাজের চাপ, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদির কারণে দাম্পত্য জীবনকে সুখময় করার জন্য পর্যাপ্ত সময় ও আগ্রহ পাই না। ডিমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি-৫ ও বি-৬। যা আমাদের চাপ কমাতে সহায়তা করে এবং শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করে দাম্পত্য জীবনকে মধুময় করে তোলে।

তরমুজ: দাম্পত্য জীবনকে চাঙ্গা করতে চাইলে পুষ্টিগুণে ভরপুর তরমুজ খেতে পারেন। তরমুজকে বলা হয় প্রাকৃতিক ভায়াগ্রা। তরমুজ প্রচুর অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফল। যা শরীরে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে। ইরেক্টাইল ডিফাংশনের প্রাকৃতিক চিকিৎসা হিসেবে কাজ করে।

জাফরান: তাৎক্ষণিক উপকার পেতে চাইলে আপনার প্রতিদিনের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে জাফরান রাখুন। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, জাফরান যৌন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি করে।

রসুন: শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে আমাদের দাম্পত্য সম্পর্ক বাধাগ্রস্ত হয়। এসব সমস্যা এড়াতে নিয়মিত রসুন খেতে পারেন। রসুনের কামোদ্দীপক উপাদান শারীরিক সম্পর্ককে দীর্ঘায়িত করে।



মন্তব্য চালু নেই