প্রস্তাবের বাইরেও নাম সংগ্রহ করতে পারে সার্চ কমিটি

রাজনৈতিক দলগুলো থেকে পাঠানো ১২৫ জনের নামের তালিকা থেকে ২০ জনের শর্ট লিস্ট করা হয়েছে। এখান থেকেও সংযোজন-বিয়োজন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুল ওয়াদুদ ভুইয়া। তিনি বলেন, ‘শর্ট লিস্টের বাইরে থেকেও সার্চ কমিটি যোগ্য ব্যক্তিদের নাম বের করে আনতে পারে। ২০ জনের প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। কমিটি নিজ বিবেচনায় এখান থেকে নাম বাদ এবং যোগও করতে পারে।’

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে দেশের চার বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব এসব কথা বলেন।

বুধবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হেনা, আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ, সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনামের সঙ্গে সার্চ কমিটি বৈঠক করে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের আরও জানান, ‘সময়োপযোগী ও যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে ইসি গঠন করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সার্চ কমিটির সদস্যরা তাদের পরামর্শ গুরুত্ব সহকারে তাদের কথা শুনেছে।’

বৈঠক শেষে রোকনউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘আগের ইসির সঙ্গে এবারের ইসির কাজের সুস্পষ্ট পার্থক্য আছে। কারণ এর আগে ইসি যেসব গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে তার সবই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছে। এবার রাজনৈতিক সরকারের মধ্যে অধীনে থেকেই কাজটি করতে হবে। ফলে এটা তাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। সার্চ কমিটি যাদের নাম চূড়ান্ত করবেন তারা দায়িত্ব পাওয়ার পর যদি আশানুরূপ আচরণ না করতে পারেন তাহলে সার্চ কমিটিকে দায়ী করা সমীচীন হবে না।’

ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেছেন, ‘যে ২০ জনের নাম বাছাই করা হয়েছে ইতোমধ্যে সেই তালিকা প্রকাশ করা দরকার। এর আগেও সার্চ কমিটির সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদ সচিব প্রকাশ করেছেন আমরা জানি। এবারও নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে আশা করি। শুধু সুপারিশ থাকলে হবে না একটি ভিশনও থাকা উচিত।’

আবু হেনা বলেন, ‘দেশের স্বার্থে ইসি গঠনে সার্চ কমিটিকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালনে তারা সক্ষম হবে। সব ভয়-ভীতি হুমকির ঊর্ধ্বে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন এমন ব্যক্তিবর্গ নিয়ে ইসি গঠনের প্রস্তাব করবে সার্চ কমিটি।’

সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘প্রথমবারের মতো সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া বাংলাদেশের গণতন্ত্রের প্রক্রিয়াকে আরও সুসংহত করবে। নির্বাচনি বিষয়গুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। শুধু আইন করলে হবে না, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সহায়ক বিধি সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।’



মন্তব্য চালু নেই