প্রশ্নপত্রে ‘লোভী চিকিৎসক’ : ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা

এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা (সৃজনশীল) ১ম পত্রের একটি প্রশ্নে একজন লোভী চিকিৎসকের সঙ্গে তার এক উদার বন্ধুর তুলনা করে মনুষ্যত্বের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এসএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কাছে চিকিৎসকদের লোভী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়ায় ক্ষুব্ধ এ পেশায় জড়িতরা।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বোর্ডের বাংলা সৃজনশীল প্রশ্নপত্রের দুই নম্বর প্রশ্নটি ছিল এমন, ‘জাহেদ সাহেব একজন লোভী ডাক্তার। অভাব ও দারিদ্র্য বিমোচন করতে গিয়ে তিনি সব সময় অর্থের পেছনে ছুটতেন। একসময় গাড়ি-বাড়ি, ধন-সম্পদ সব কিছুর মালিক হন। তবুও তার চাওয়া পাওয়ার শেষ নেই। অর্থ উপার্জনই তার একমাত্র নেশা। অন্যদিকে, তার বন্ধু সগীর সাহেব তার ধন-সম্পদ থেকে বিভিন্ন সামাজিক জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করেন। তিনি মনে করেন, সুন্দরভাবে জীবনযাপনের জন্য বেশি সম্পদের প্রয়োজন নেই। ‘

শিক্ষার্থীদের ‘শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব’ প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করতে বলা হয়েছে।

এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এর সঙ্গে জড়িতদের আগামী তিন দিনের মধ্যে খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি এবং চিকিৎসক সমাজের কাছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার শাহবাগে মানববন্ধন করবে চিকিৎসকরা। আগামী রবিবার শিক্ষামন্ত্রী এবং ঢাকা বোর্ডের কাছে এর প্রতিবাদে স্মারকলিপি দেবে স্বাচিপ।

স্বাচিপের সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান জানান, দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে মিথ্যা, বানোয়াট, কূরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য পরিবেশন জাতির জন্য কলঙ্কজনক ঘটনা। যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি।

বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। জড়িতদের খুঁজে বের করে আগামী তিন দিনের মধ্যে শাস্তির দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।



মন্তব্য চালু নেই