প্রধান শিক্ষকের কারাদণ্ড, বহিষ্কার ৭

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এর গণিত পরীক্ষা চলাকালে নকলে সহযোগিতা করার দায়ে লক্ষ্মীপুরে এক প্রধান শিক্ষককে ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া অসদ উপায় অবলম্বনের দায়ে ৫ শিক্ষক ও ২ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত ওই শিক্ষকের নাম মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি সদর উপজেলার ইউসুফপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
রোববার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ দণ্ডাদেশ দেন।
এ ছাড়া সদর উপজেলার দালাল বাজার এনকে উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার ও নকলে সহযোগিতা করার দায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম ৫ পরিদর্শককে বহিষ্কার করেছেন।
বহিষ্কৃত শিক্ষকরা হলেন- রসুলগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাবুল চন্দ্র দাস, বিপ্লব চন্দ্র দাস, হুমায়ুন কবির, গোপিনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আরিফ হোসেন, কামান খোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের আবদুল মান্নান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রোববার হাজিরপাড়া হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষা চলাকালে নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কক্ষে গিয়ে গণিত পরীক্ষায় খাতায় লিখে ও শিখিয়ে দেওয়ার সময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান তাৎক্ষণিক শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
এসময় হাজিরপাড়া হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব নুরুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়ার আদেশ দেন ইউএনও।
এ দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গণিত পরীক্ষা চলাকালে নকল করার দায়ে রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ জন ও রামগতি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দোলোয়ার হোসেন নকল পাওয়ায় তাদের বহিষ্কার করেন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলার ইউএনও মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, নকলে সহযোগিতা করার অপরাধে ইউসুফপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে আটক করে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া দালাল বাজার এনকে উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫ জন পরিদর্শককে বহিষ্কার করা হয়েছে।’



মন্তব্য চালু নেই