প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলেরও নেতা: জাপা মহাসচিব

জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেছেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দল হচ্ছে শ্যাডো গভর্নমেন্ট (ছায়া সরকার)। আর প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন সংসদ নেতা। তিনি বিরোধী দলেরও নেতা। সে কারণে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা তো বলতেই হবে। কিন্তু কেউ নালিশ করতে যাননি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে এরশাদের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির নিয়ন্ত্রণ কি প্রধানমন্ত্রীর হাতে-এমন প্রশ্নের জবাবে বাবলু এসব কথা বলেন।

মন্ত্রিসভা থেকে জাপার ৩ সদস্যের পদত্যাগ ও সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা নির্বাচন নিয়ে যে সংকট চলছে, এ বিষয়ে দলীয় অবস্থান তুলে ধরতেই এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জাপার চেয়ারম্যান ছিলেন না। তিনি বনানী কার্যালয়ে তাঁর কক্ষে ছিলেন।

হঠাৎ করে দলের ২ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মশিউর রহমান ও তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে অব্যাহতি দেওয়ার কারণ কী-জানতে চাইলে বাবলু বলেন, দলের গঠনতন্ত্রের ৩৯ ধারা বলে তিনি (চেয়ারম্যান) যে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গের কিছু হলে চেয়ারম্যান তা বরদাশত করবেন না। এই ২ নেতার কিছু বক্তব্য চেয়ারম্যানের গোচরে এসেছে। তা দেখে তিনি সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছেন।

এতে দলে ভাঙন বা বিভক্তি দেখা দেবে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে জিয়াউদ্দিন বলেন, জাপায় কোনো বিভক্তি নেই। চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব মেনেই সবাই কাজ করছে। যে নদীর গর্জন বেশি, সে নদীর ঢেউ তো উপচে পড়বেই। জাপা একটি ভায়াব্রেন্ট দল।

তাজুল ইসলাম চৌধুরী দাবি করেছেন, এরশাদ বিরোধী দলের নেতা হতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁদের অব্যাহতি দিয়েছেন। এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাবলু বলেন, ‘এরশাদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। সংসদীয় দল তো পার্টির অধীনই একটি অংশ। আর তাজুল ইসলাম চৌধুরী একজন বিতর্কিত লোক, এটা সবাই জানেন। তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের কথাও আমরা শুনেছি। তিনি জাতীয় পার্টি থেকে গিয়ে পিডিপি করেছেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির নমিনেশন নিয়ে এরশাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে হেরেছেন। এর পরও এরশাদ তাঁকে মাফ করে দিয়ে দলে নিয়েছেন।’



মন্তব্য চালু নেই