প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর: পানি নিয়ে ‘ঘোলা জল’ পরিস্থিতি
বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্কে এখন সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত শব্দ তিস্তা নদী। যার পানি বন্টন সংক্রান্ত চুক্তিটি ২০১১ সালে চুড়ান্ত হলেও গত ছয় বছরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরম বিরোধিতার কারণে স্বাক্ষর করা হয়নি।
এবারের সফরেও বাংলাদেশের অংশে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি করার জন্য এ চুক্তিটি স্বাক্ষর হবেনা, এটি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এবং তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যম প্রতিনিধি দলকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর বৃহস্পতিবার বিকালে বলেছেন, আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এ বিষয়ে নাটকীয় কোনও পরিবর্তন হবে, এমন কোনও আভাস নেই।
তিস্তা চুক্তি বিষয়ে দিল্লির মনোভাব এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার বিষয়ে সম্পর্ণ ওয়াকিবহাল হয়ে ভারতের মাটিতে পা রাখছেন শেখ হাসিনা।
দর কষাকষির এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ তিস্তা চুক্তি করার সময়সীমা নিয়ে আলোচনা এবং শুধু তিস্তা নয়, গঙ্গা ব্যারেজ করার জন্যও একটি নির্দিষ্ঠ সময়সীমা নিয়ে দিল্লির সঙ্গে কথা বলছে ঢাকা। মমতার সঙ্গে শেখ হাসিনার সখ্যতা থাকলেও তিস্তা বিষয়ে ঢাকা আলোচনা করার বিষয়টি দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারের উপর ছেড়ে দিয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই