শাহবাজপুর গ্যাস দিয়ে ভোলায় ৩৪ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হওয়ার পর এবার নতুন করে যোগ হতে যাচ্ছে ২শ’ ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ । এর মধ্যে দিয়ে ভোলা তথা দক্ষিণাঞ্চল বাসীর জন্য দীর্ঘ এক স্বপ্ননের বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। তবে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালুর জন্য অপেক্ষা করতে হবে মে মাস কিংবা জুন মাসের যে কোন দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ।

এদিকে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলেই ভোলায় সারকারখানাসহ বেশ কিছু শিল্পকারখানা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হওয়ার উজ্জ্বল সম্ভবনা রয়েছে । এতে কর্মসংস্থান হবে ভোলাসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার বেকার যুবক-যুবতীদের। ফলে আরো উন্নয়নশীল জনপদে রুপান্তিত হবে গ্যাস আবিস্কারস্থল এই দ্বীপ ভোলা। ইতিমধ্যেই ভোলার উপজেলা বোরহানউদ্দিনের এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সার্বিক কাজের অগ্রগতির খোঁজ খবর নিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ। এছাড়াও স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল, স্থানীয় প্রশাসন ও বাপেক্স’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে একাধিক বার এ কাজের পরির্দশন করেছেন।

সূত্র বলছে, শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র’র মজুদ থাকা বিপুল পরিমাণ গ্যাসকে কাজে লাগিয়ে গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয় সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার নাদীরার চর নামক এলাকায় প্রায় ৩০ একর জমির উপর গড়ে উঠেছে ২শ’ ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। প্রায় দুই হাজার কোটি ব্যয়ে ১৮ মাস ধরে এ কাজ চলছে। কাজটি অর্থায়নে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ও জিওবি ফান্ড আর বাস্তবায়নে রয়েছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির কাজ করছেন একটি চায়না কোম্পানি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মে-জুন মাসে প্রধান মন্ত্রী’র আগমন উপলক্ষে সম্প্রতি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে’র কাজের অগ্রগতির খোঁজ খবর নেন স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল। এমপি কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোশ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও দেশের নাম করা বেশ কয়েকজন শিল্পপতি এ উপজেলায় ঘুরে গেছে এবং তারা এ উপজেলায় বিভিন্ন শিল্প কারখানা গড়ে তোলার কথাও ভাবছেন। বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর মধ্যে একদিকে যেমন এ অঞ্চলের বিদ্যুৎতের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।

অন্যদিকে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলে বেকারদের কর্মসংস্থান ও উন্নয়নশীল জনপদে রুপান্তিত হবে। এছাড়া ইতিমধ্যে এ উপজেলা থেকে বরিশাল বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কাজ চলছে পুরোদমে।

এদিকে ২শ’ ২৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশেই আরো ২শ’ ২৫ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গড়ে তোলার জন্য জমি অধিক গ্রহন করা হয়েছে। এটার কাজ শেষ হলেই নতুন ২শ’ ২৫ মেঘাওয়াটের কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে। গ্যাস ভিত্তিক ৪শ’ ৫০ মেঘাওয়াটের পাওয়ার প্ল্যান্ট হতে যাচ্ছে এ উপজেলায়। এতে ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ভাগ্যে পরিবর্তনের সম্ভবনা রয়েছে।

বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পিডিবির দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, দিন রাত কাজ খুব দ্রুত গতিতে চলছে। কাজের প্রায় ৮৫% কাজের অগ্রগতি হয়েছে। আগামী মে-জুনের মধ্যে এ কাজের উদ্বোধন করার সম্ভবনা রয়েছে। কাজের অগ্রগতি দেখে অর্থায়ন দাতা সংস্থারা সন্তোশ প্রকাশ করেছেন। আর বিদ্যুৎ থেকে এ উপজেলায় বিভিন্ন শিল্প কারখানাসহ অনেক আধুনিক শিল্প কারখানা গড়ে উঠার সম্ভবনার কথাও জানান ।