প্রধানমন্ত্রীর আমিরাত সফর ব্যর্থ : ফখরুল

সাম্প্রতি সংযুক্ত আরব-আমিরাতে প্রধানমন্ত্রীর সফরে কোনো সফলতা আসেনি দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ওই সফর ফলপ্রসূ হয়নি, শুধুই ফটোসেশন হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আরব-আমিরাত সফরে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার ব্যাপারে কোনো চুক্তি হয়নি। নারী গৃহকর্মী নেওয়ার ব্যাপারে যে চুক্তির কথা বলা হচ্ছে তা আগে থেকেই ছিলো। ওই সফর ফেল। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সাকসেস।’

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘২৮ অক্টোবর : ট্রাজেডি ২০০৬-রুখে দাঁড়াও আওয়ামী জাহেলীয়াত’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন। ২০০৬ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের শেষের দিকে এই দিনে রাজধানীর পল্টনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ হতাহত হয়। দিনটি স্মরণে জাগপা এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ওই দিনকে ‘কালো দিন’ আখ্যা দিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, ‘সেখান থেকেই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষের কণ্ঠকে ধ্বংস করে তাবেদার সরকার প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এর অংশ হিসেবে পরবর্তীতে ১/১১ সৃষ্টি হয়।’

আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায় অভিযোগ করে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ‘বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটে সরাসরি ঘোষণা না দিয়ে পরোক্ষভাবে সবগুলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করতে চায়। এর মাধ্যমে আইনগতভাবে তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নিতে চায়।’

এর ধারাবাহিকতায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর সম্প্রচার নীতিমালা ও অভিশংসন আইন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। সংবিধান কাঁটাছেড়া করে ৫১টি ধারা সংশোধন করে দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষাকে ধ্বংস করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, ‘ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা কষ্টকর। তাই দানব সরকারকে প্রতিহত করতে আন্দোলনের বিকল্প নেই।’ সেজন্য দেশের তরুণ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নামার আহ্বান জানান বিএনপির এ নেতা।

জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন ডা. জাফরউল্লাহ, এনপিপির সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামিক পার্টির আবদুল মোবিন, মুসলীম লীগের গরীবে নেওয়াজ, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান।



মন্তব্য চালু নেই