প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন খালেদা

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ অভিযোগ করেছেন, বিএনপি নেতা খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছেন। প্রধানমন্ত্রীপুত্র জয়সহ বঙ্গবন্ধু পরিবারকে ধ্বংসের নীলনকশা আঁটছেন খালেদা।

তবে কীভাবে এ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত না বললেও আওয়ামী লীগের মুখপাত্র যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআই এজেন্টকে দিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে যে বিএনপি নেতারা জড়িত, তা এখন প্রমাণিত।

মাহবুব-উল আলম হানিফ বুধবার বিকেলে যশোর শহরের চৌরাস্তায় আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা ১৪ দল পদযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে হানিফ আরও অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়া ও জামায়াত দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে। সব সেক্টরে যখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তখন খালেদা জিয়ার নির্দেশে পেট্রোলবোমা মেরে মানুষের বাঁচার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামীকে ‘পাকিস্তানী দল’ উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘খালেদা জিয়া এ অশুভ শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছেন। এ অশুভ ঐক্যকে বাংলার মাটি থেকে চিরতরে উৎখাত করতে হবে।’

তিনি প্রশ্ন রাখেন, খালেদা জিয়া পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কাছ থেকে টাকা নিয়ে কার পারপাস সার্ভ করতে চান? ‘এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, তিনি দেশকে ধ্বংস করতে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন’— মন্তব্য হানিফের।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ১৪ দলীয় জোট জেলা কমিটির সমন্বয়ক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘পেট্রোলবোমা ও সন্ত্রাস করে রাজনীতি করা যায় না। তাই মানুষ হরতাল-অবরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।’

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন জাসদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রবিউল আলম, ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট এনামুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো সদস্য ইকবাল কবির জাহিদ, জেপির ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ সফিকুল হামিদ চন্দন, বাসদের মাহবুবুর রহমান, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য এ্যাডভোকেট বীরেণ সাহা, যশোর সদর আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন।



মন্তব্য চালু নেই