প্রথম বাঙালি হিসেবে সিপিএ চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন স্পিকার শিরীন শারমিন
বাংলাদেশ জাতীয় সংসেদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রথমবারের মতো বাঙালি হিসেবে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন।
ক্যামেরুনের রাজধানী ইয়াউন্দে’তে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ৩ বছর মেয়াদে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন (সিপিএ) চেয়ারপার্সন পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এই নির্বাচনে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি সদস্য রাষ্ট্রের ১৭৫টি পার্লামেন্টের ৩২১ জন ভোটার ছিলেন।
৩৫ সদস্যের নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে চেয়ারপার্সন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন স্পিকার। নির্বাচনে বাংলাদেশের ৪টি এবং ভারতের ৩২টি ভোট রয়েছে।
এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য গত ৭ আগস্ট শিরিন শারমিন চৌধুরী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তার মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই স্বাক্ষর করেছেন। আর সমর্থক হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন ভারতীয় লোকসভার স্পিকার সুমাত্রা মহাজন ও সিঙ্গাপুরের স্পিকার হালিমা ইয়াকুব।
বাংলাদেশ পার্লামেন্ট ১৯৭৩ সন থেকে পৃথিবীর বৃহৎ এই সংসদীয় ফোরামের সদস্য। বাংলাদেশের কোনো স্পিকার এবারই প্রথম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং নির্বাচিত হন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন কেইম্যান আইল্যান্ডসের আইনসভার স্পিকার জুলিয়ানা ও’কনর-কন্নোলি।
ভৌগলিকভাবে সিপিএ কয়েকটি অঞ্চলে বিভক্ত। অঞ্চলগুলো হলো—আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, বৃটিশ আইল্যান্ড ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, কানাডা, ক্যারিবিয়ান, আমেরিকা ও আটলান্টিক, ইন্ডিয়া এবং প্যাসিফিক জেস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সিপিএ এশিয়া অঞ্চলের অন্তর্ভূক্ত।
মন্তব্য চালু নেই