প্রত্যেক নারীই চান তার স্বামী বুঝে নিক এই বাস্তব কথাগুলো

নারীরা বরাবরই একটু আবেগী হয়ে থাকেন। অনেক কিছুই মুখে প্রকাশ করেন না কিন্তু মনে মনে ঠিকই চান সঙ্গী তার মনের কথা বুঝে নিক। অনেক ক্ষেত্রেই এবং বেশীরভাগ পরিবারে দেখা যায় নারীর ইচ্ছাটাকে একটু কমই গুরুত্ব দেয়া হয়। আবার সংসারে নারীদের কাছ থেকে যে সকল কাজ আশা করা হয় একই ধরণের আশা যে নারীরাও করতে পারেন তা অনেক সময় পুরুষেরা বুঝতে পারেন না বা বুঝতে চান না। আর এ থেকেই শুরু হয় সংসারের অশান্তি। তাই নারীরা চান পুরুষেরা যেমন চান নারীরা একটু বাস্তববাদী হোক তেমনই নারীরাও চান পুরুষেরাও একটু আবেগ দিয়ে চিন্তা করতে শিখুক। প্রত্যেক নারীই চান তার স্বামী কিছু বাস্তব সত্য মন থেকে বুঝে নিক।

১) ‘আমিও একটি সাহায্য পাবার আশা রাখতে পারি’
যতো শিক্ষায় শিক্ষিত এবং যতো বড় চাকুরীই করুক না কেন ঘরে ফিরে চুলার হাড়ি নারীদেরকেই ঠেলতে হয়। আধুনিক মনা অনেক পুরুষ তা স্ত্রীকে সাহায্য করেন বটে কিন্তু বেশীরভাগ পরিবারের চিত্রই থাকে ভিন্ন। কিন্তু নারীরা চান একটু সহযোগিতা। তারা যদি চাকুরী করে ঘরে ফিরে কাজ করতে পারেন তাহলে তার স্বামী কেন পারবেন না তা একটু সাহায্য করতে?

২) ‘তোমার পরিবারের মতো আমারও পরিবার রয়েছে’
অনেক পরিবারেই নারীদের বলা হয় তার সবটা ঢেলে শ্বশুর শাশুড়ির সেবা এবং শ্বশুরবাড়ির সকলের মন জুগিয়ে চলতে। নারীরা করেনও এই কাজটি। কিন্তু বিপরীতে সেও আশা করেন তার স্বামী তার বাবা মায়ের প্রতি কিছুটা কর্তব্য পালন করুন। একটু হলেও স্বামী যেনো তার পরিবারের মতো ভেবে খোঁজ খবর নিক এবং বিপদে পাশে এসে দাঁড়াক।

৩) ‘কথা বললে সেটা মানতেই হবে এমন নয়, একটু মতামত দেয়ার অধিকার আমিও রাখি’
স্ত্রীর মতামতের মূল্য দেয়া এবং একটু পরামর্শ নেয়া মোটেও স্ত্রীর আঁচলে বাঁধা পড়ে যাওয়া নয়। প্রত্যেক নারীই চান তার স্বামী তার মতামতের একটু হলেও মূল্য দিন, তিনি আসলেই কি বলতে চান তা শুনুক। হতে পারে পরামর্শ স্বামীর পছন্দ না হতেই পারে কিন্তু না শুনেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে হেয় করার ব্যাপারটি স্ত্রীরা আশা করেন না।

৪) ‘তোমার কাছ থেকে আমি একটু সময় আশা করি’
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যদি গৃহিণী ঘরে থাকেন তাহলে কিছুক্ষণ পরপরই সে তার স্বামীকে ফোন দিয়ে বিরক্ত করতে থাকেন। কিন্তু নারীরা বিরক্ত করার জন্য নয় বরং সঙ্গীর খোঁজ নেয়ার জন্য ফোন করেন ব্যাপারটি যদি এভাবে দেখতে পারেন পুরুষেরা তাহলে তার স্ত্রীর প্রতি সম্মান দেখানোই হবে। আর এই বিষয়টিই আশা করেন নারীরা। অন্তত ১ মিনিটের জন্য ফোন ধরে হলেও খারাপ ব্যবহার না করে বুঝিয়ে বলা ঘরে থাকা গৃহিণী আশা করতেই পারেন।

৫) ‘আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো, মুখে বললে সমস্যা তো নেই’
একজন নারী তার স্বামীকে যথেষ্ট ভালোবাসেন এবং নিঃসন্দেহে স্বাভাবিক সম্পর্কে স্বামীও তার স্ত্রীকে ভালোবাসেন। আর এই বিষয়টিরই প্রকাশ চান নারীরা। প্রত্যেক নারীই চান একটু হলেও তার স্বামী তার প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করুন। তিনি হয়তো জানেন তার স্বামী তাকে অনেক ভালোবাসেন। তারপরও মুখে বলে বা প্রকাশ করাটাতে স্ত্রীর আনন্দ তা পুরুষেরা বুঝে নিন এই ব্যাপারটি আশা করেন নারীরা।
সূত্রঃ এলিটডেইলি



মন্তব্য চালু নেই