প্রতি জেলায় হবে ই-পাসপোর্ট অফিস: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যার মধ্যদিয়ে যারা ক্ষমতা দখল করেন তারা কেবল নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের কাজে নিয়োজিত ছিলেন। দরিদ্র মানুষ দরিদ্রই থেকে যায় এবং তাদের ভাগ্যের উন্নয়নে কেউ কোনো কাজ করেনি।এ দিক থেকে আওয়ামী লীগ হচ্ছে ব্যতিক্রম। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদেরকে চলতে হচ্ছে।তিনি বলেন, পাসপোর্ট আমাদের নাগিরকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট করার পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি জেলায় গড়ে তোলা হবে ই-পাসপোর্ট অফিস।
পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ-২০১৬ উপলক্ষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরে আজ রবিবার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভবনগুলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী।এর আগে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর কবির নানক, স্বরাষ্ট্র সচিব মোজাম্মেলক হক প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, আওয়ামী লীগই একমাত্র দল যারা সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করে থাকে। নতুন নয়টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট ভবনের উদ্বোধান করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আর দূর দূরান্ত থেকে মানুষকে পাসপোর্ট করার জন্য ঢাকায় আসতে হবে না।আমাদের টার্গেট হচ্ছে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করা।আমরা সেটা পারবো এবং আমাদেরকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। কারো কাছে হাত পাতবো না।
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, আমরা কেন পারবো না।জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি।কাজেই সেই জাতি কখনো পরাজিত হতে পারে না।সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদেরকে সবাইকে কাজ করে যেতে হবে। দেশের কথা ভাবতে হবে।আমরা এমনভাবে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের এবার বেতন বাড়িয়েছি যাতে করে একটি পরিবার ভালোভাবে চলতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করছি বেতন বৃদ্ধির ফলে কর্মচারী ও কর্মকর্তারা দুর্নীতি থেকে দূরে থাকবে।
মন্তব্য চালু নেই