প্রতিবেশী চাচার হাতে ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষিত

চাচার লালসার শিকার হয়েছে স্কুলছাত্রী। ছাত্রীর বাড়িতেই ওই চাচা ধর্ষণ করে পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সূত্রে এ তথ্য মিলেছে। তিনি জানান, ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রতিবেশী এক চাচার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল বৃহষ্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন ধর্ষিতা ও তার মা।

ইউএনও তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ওয়ানষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ধর্ষিতাকে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। বর্তমানে ধর্ষিতা কিশোরী চমেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ধর্ষিতার ম কান্নাকন্ঠে ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, ‘গত ২৬ এপ্রিল বিকেলে বাড়ির সামনের পুকুরে ধোয়ার কাজে করছিলাম। এ সময় প্রতিবেশী নূর আহমদের পুত্র জামাল উদ্দিন ঘরে ঢুকে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। মেয়ের চিৎকার শুনে আমি দৌড়ে ঘরে এসে দেখি আমার মেয়ে কাঁদছে। এ সময় জামাল উদ্দিন বিষয়টি কাউকে জানালে খবর আছে বলে হুমকী দিয়ে যায়।’

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জামাল উদ্দিন সম্পর্কে তার চাচা হয়। জামাল উদ্দিনের ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া একটি কন্যা রয়েছে।

এদিকে, ধর্ষনের বিষয়টি সবাই জেনে যাচ্ছে এ খবর পেয়ে ধর্ষক জামাল উদ্দিন ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।

একদিন রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ধর্ষিতার মাকে বলেন, যা হবার হয়ে গেছে। এখন আর ঘটনা বাড়িয়ে লাভ কী। তার চেয়ে বরং তুমি এই টাকা নাও।’ মিটমাটের প্রচেষ্টা চালায় বলে ইউএনওকে জানানো হয়। তবে এ ব্যাপার শহিদ মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটমাটের চেষ্টার বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেন।

একই সাথে তিনি তদন্তসাপেক্ষে সঠিক বিচারের দাবি জানান প্রশাসনের প্রতি।

এদিকে ধর্ষণের অভিযোগ ইউএনওর কছে গিয়েছে এমন খবরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে জামাল উদ্দিন।

৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পদুয়া ব্যাবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও পদুয়া এসিএম উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম সিকদার ক্যাম্পাসলাইভকে ক্ষোভের সাথে বলেন, আমাদের এলাকা ছিল শান্তি প্রিয়। এ গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ ধর্মপ্রাণ। কিন্তু এলাকার চিহ্নিত বখাটে কতৃক এমন অনভিপ্রেত ঘটনার পর আমরা নিজেরাই শংকিত হয়ে পড়েছি। আমাদেরও মেয়ে আছে। স্কুলে যায়। তিনি অবিলম্বে ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিজনূর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন সম্পর্কে ধর্ষিতা কিশোরীর চাচা হয়। আমি বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে বলেছি আপনারও মেয়ে আছে আমারও মেয়ে আছে। খবরদার ধর্ষককে রক্ষার চেষ্টা করবেন না। ইতিমধ্যে ধর্ষিতাকে ওয়ানষ্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। আর এদিকে ধর্ষককে গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’



মন্তব্য চালু নেই