প্রতিবন্ধীরা বোঝা নয় : প্রধানমন্ত্রী

শারীরিক প্রতিবন্ধীরাও যে সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে, সেই বার্তা বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিতে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে।

এই টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ অংশ নেবে আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও ভারত। যাতে সহায়তা করছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)।

বুধবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণে তিনি বলেন, ‘শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেটারদের নিয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজিত আইসিআরসি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করতে পেরে আমি খুবই খুশি। শারীরিক প্রতিবন্ধীরা কেন বাইরে পড়ে থাকবে? তাদের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসতে হবে। তারা যাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে, সেই সুযোগ তাদের দিতে হবে। তারা যে দেশের জন্য সম্মান বয়ে নিয়ে আসতে পারে, সেই সুযোগটি তাদের দিতে হবে। আমাদের সরকার সেই কাজটি করছে। এ জন্যই বিশেষ অলিম্পিক গেমসে বাংলাদেশ ২১টি স্বর্ণপদকসহ মোট ৭০টি পদক পেয়ে নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্যের প্রমাণ রেখেছে।’

তিনি বলেন, ‘ওরা কোনো পরিবারের, কোনো সমাজের, কোনো রাষ্ট্রের বোঝা নয়। ওরা আমাদেরই সন্তান। ওদের জন্যে যা প্রয়োজন তার সবটুকু আমরা করব। তারা যেন স্বাভাবিক খেলোয়াড়দের মতো সকল সুযোগ-সুবিধা পায়, সেই কাজ আমাদের করতে হবে। এটা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।’

টুর্নামেন্টের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল সকাল ১০টায়। কিন্তু মুষলধারে বৃষ্টির কারণে তা সম্ভব হয়নি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণ করার প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তা না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের তো ইচ্ছে ছিল জমকালো আয়োজন করে পুরো বিশ্বকে জানিয়ে দেওয়া যে, আমরা তাদের জন্য কতটুকু উদগ্রীব হয়ে কাজ করছি। কিন্তু প্রকৃতির খেলার সঙ্গে কেউ পারে না। প্রকৃতির কাছে তো হার মানতেই হবে। সামনে এরকম আয়োজন আরো হবে। আশা করছি তখন এর থেকেও জমকালোভাবে টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তার বক্তব্যে বলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালো। এই প্রথম প্রতিবন্ধীদের নিয়ে এত বড় কোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড টুর্নামেন্টের সঙ্গে থাকতে পেরে নিজেদেরকে গর্বিত মনে করছে। আমি টুর্নামেন্টের সাফল্য কামনা করছি এবং ভবিষ্যতেও এ রকম টুর্নামেন্টের পাশে থাকার অঙ্গীকার করছি।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার ও উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়।

বুধবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড। পরবর্তী ম্যাচগুলো হবে সাভারের বিকেএসপিতে। ১০ সেপ্টেম্বর বিকেএসপিতে ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।



মন্তব্য চালু নেই