প্রতিদিন এক মুঠো কিশমিশ খান আর পান ৭ স্বাস্থ্য উপকারিতা

প্রতিদিনকার রান্নায় কিশমিশ ব্যবহার করা না হলেও কিছু বিশেষ খাবারে কিশমিশ ব্যবহার করা হয়। শুধু কেক, ফিরনি, পোলাও, সেমাই তৈরিতে নয়,আপনি এটি নিয়মিত খেতে পারেন। কিশমিশ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে এক মুঠো কিশমিশ। প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারীতা নিয়ে আজকের এই ফিচার।

১। মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি

কিশমিশে রয়েছে বোরন যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বোরন মনোযোগ বৃদ্ধিতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী একটি উপাদান। মাত্র ১০০ গ্রাম কিশমিশ থেকে প্রায় ২.২ মিলিগ্রাম বোরন পাওয়া সম্ভব।

২। হৃদরোগ প্রতিরোধে

গবেষণায় দেখা গেছে কিশমিশের সলিউবল ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে দেয়। ১ কাপ কিশমিশ থেকে প্রায় ৪ গ্রাম পরিমাণে সলিউবল ফাইবার পাওয়া যায়। যা হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

৩। চোখের সুরক্ষা করে

প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা সমাধান করে। কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশন প্রতিরোধ করে চোখের সুরক্ষায় কাজ করে।

৪। দ্রুত এনার্জি বৃদ্ধি

একটি ছোট বাক্স কিশমিশে ৩৪ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, এটি দ্রুত কাজে এনার্জি দিয়ে থাকে। ক্লান্তি বোধ হলে এক মুঠো কিশমিশ খেয়ে ফেলুন আর দেখুন ম্যাজিক।

৫। রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করে

আমরা সকলেই জানি দেহে আয়রনের অভাবের কারণে রক্তস্বল্পতার সমস্যা শুরু হয়। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। ১ কাপ কিশমিশে রয়েছে প্রায় ৬ মিলিগ্রাম আয়রন যা আমাদের দেহের প্রায় ১৭% আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম।

৬। মুখের স্বাস্থ্য রক্ষায়

কিশমিশ মিষ্টি জাতীয় খাবার হলেও এটি মুখ এবং দাঁতের জন্য ক্ষতিকর নয়। বরং মুখের স্বাস্থ্যের জন্য এটি বেশ উপকারী। কিশমিশে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড যা মুখের ভেতরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাঁধা দেয় এবং ক্যাভিটি প্রতিরোধে কাজ করে।

৭। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে

কিশমিশে পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এই দুটি শক্তিশালী মিনারেল আছে যা উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় কিশমিশ রাখুন।



মন্তব্য চালু নেই