প্রতারণা-জালিয়াতির তদন্ত করবে পুলিশ
প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে হওয়া মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের ভার কমাতে সংশোধন করা হচ্ছে দুদক আইন। সংশোধিত আইনে দুদকের তফশিলভূক্ত অপরাধ প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তের ভার দেওয়া হচ্ছে পুলিশকে। সরকারি সম্পত্তি সম্পর্কিত প্রতারণা কিংবা জালিয়াতি, সরকারি ও ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দায়িত্ব পালনকালে প্রতারণা কিংবা জালিয়াতি ছাড়া বাকি সব ধরনের প্রতারণা ও জালিয়াতির তদন্ত করবে পুলিশ।
পুলিশের তদন্তের বিষয়টি যুক্ত করেই দুর্নীতি দমন কমিশন (সংশোধন) আইন-২০১৫-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এতে অনুমোদন দেওয়া হয়।
দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০১৩ সালে দুদক আইন সংশোধন করে জালিয়াতি ও প্রতারণার বিষয়টি যুক্ত করা হয়। আইনটি হওয়ার পর বেশ কিছু বাস্তব অসুবিধা পরিলক্ষিত হয়। প্রতারণা ও জালিয়াতির জন্য বাংলাদেশে হাজার হাজার মামলা হয়। কিন্তু এসব মামলার আশানুরূপ নিষ্পত্তি দুদকের পক্ষে করা সম্ভব হয় না। প্রতারণা ও জালিয়াতির বিষয়টি দুদক আইনে যুক্ত হওয়ায় পুলিশ প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা গ্রহণ করে না। ফলে এ ধরনের মামলার সংখ্যা বাড়ছে, নিষ্পত্তিও হ্রাস পাচ্ছে। বিষয়টি আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে কেবিনেটকে জানানো হয় এবং দুদক আইন সংশোধন করে প্রতারণা ও জালিয়াতির তদন্ত দুদকের শিডিউল থেকে বাদ দেওয়া দরকার বলে মত দেওয়া হয়। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়া হয়। তারা উভয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের উদ্বেগ ও প্রস্তাবে সায় দেয়। তখন সরকারের সঙ্গে দুদকের একাধিকবার বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত হয়, সরকারি সম্পত্তি সংক্রান্ত প্রতারণা ও জালিয়াতির সঙ্গে বেসরকারি লোকজনও যদি জড়িত থাকেন তাহলে দুদক তদন্ত করবে। এ ছাড়া কোনো সরকারি কিংবা ব্যাংকের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনকালে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ আসলে দুদক তা তদন্ত করবে। বাকি সব ধরনের প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ তদন্ত করবে পুলিশ।’
মন্তব্য চালু নেই