পৌষ মাসেও তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি!
পৌষ মাসের শীতে যেখানে উত্তরাঞ্চলের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সেখানে খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কখনও বৃষ্টি, কখনও তীব্র শীত, আবার কথনও প্রচণ্ড গরমে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
শনিবার খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৌষ মাসে এমন তাপমাত্রা অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
বৃহস্পতিবার বছরের শেষ দিনে খুলনায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে চলে পরদিন শুক্রবার পর্যন্ত। শনিবার দুপুরের পর থেকে নগরীতে আবারও শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।
খুলনার আবহাওয়া অফিস জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে শ্রীলঙ্কা ও তামিলনাড়ুর কাছাকাছি এলাকায় কয়েকদিন আগে লঘুচাপের সৃষ্টি হয়। সেই লঘুচাপের প্রভাবে আবহাওয়ায় অস্বাভাবিকতা দেখা দিয়েছে। যে কারণে কথনও তীব্র শীত, কথনও বৃষ্টি আবার কথনও প্রচণ্ড তাপদাহ।
এদিকে, প্রকৃতির এমন অস্বাভাবিক আচরণে জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব প্রভাব পড়ছে।
শনিবার সকালে রোদের তীব্রতা বাড়ে। যারা বাড়ি থেকে শীতের পোষাক পরে বেরিয়েছিলেন তারা গরমে তা খুলে ফেলতে বাধ্য হন। এরমধ্যেই দুপুর ৩টার পর নগরীসহ আশপাশের এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। পরে তা মাঝারি আকার ধারণ করে।
এ বিষয়ে খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য আকাশে মেঘমালা ঘনীভূত হয়ে তাপমাত্রা বেড়েছে। তাছাড়া মেঘ সৃষ্টি হওয়ার কারণে বৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর খুলনায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় তিন মিলিমিটার। আর বছরের প্রথম দিনে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় দুই মিলিমিটার। বৃষ্টির পর শীত বাড়বে। তবে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে এর আগে এতো তাপমাত্রা দেখা যায়নি বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য চালু নেই