পোয়াতির পেটে এ কী! হতভম্ভ ডাক্তাররা

শুনে মাথায় বাজ পড়ার মতোই অবস্থা হয়েছিল মহিলার। গর্ভে যাকে ধারণ করেছেন, তিলে তিলে বড় করে তুলেছেন এতগুলো মাস ধরে, সে আসলে তার সন্তান নয়! এতটা আশাহত হতে হবে কল্পনাতেও ভাবেননি রোমানিয়ার এই মহিলা।

অস্ত্রোপচার করে ডাক্তারদেরও চোখ ছানাবড়া! ১১ পাউন্ড ওজন একটা টিউমারের! হ্যাঁ, টিউমার! পেটের মধ্যে এমন পুরুষ্টু টিউমার আগে কখনও তারা দেখেননি। তাই বিস্মিত হওয়াটাই স্বাভাবিক।

তার আগে পর্যন্ত সবটাই ছিল খুবই স্বাভাবিক। পোয়াতি মহিলার যা যা লক্ষণ থাকে, বছর ৪২-এর ম্যাডালিনা নেগু-র ছিল তাই। পেটে যন্ত্রণা হওয়ায়, ধরে নিয়েছিলেন গর্ভযন্ত্রণা। ম্যাডালিনাকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। পরিবারও ধরে নিয়েছিল গর্ভস্থ সন্তানের জন্ম হবে। ডাক্তার ডোরিন স্কালাডানের কথায়, ‘মহিলার পেট দেখে সন্দেহ করার মতো কিছু মনে হয়নি। ন-মাসের অন্তঃসত্ত্বার যেমন হয়, ছিল তেমনই। তাই আমরাও ধরেই নিয়েছিলাম গর্ভযন্ত্রণা উঠেছে। মহিলা এসেও তেমনটিও জানিয়েছিলেন।’

কিন্তু, প্রসবের আগে শেষ মূহূর্তের কিছু পরীক্ষা করতে গিয়ে স্তম্ভিত হন ডাক্তাররা। ম্যাডালিনা এতদিন অপত্যস্নেহে গর্ভে যাকে বড় করে তুলেছেন, তা আসলে টিউমার। যে টিউমারটি পুরুষ্টু হয়ে উঠেছে তাঁর ইউটেরাসে। সময় নষ্ট না-করে, তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করে বার করা হয় সেই বিশালাকায় টিউমারটি। মহিলাকে রাখা হয়েছে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, আপাতত বিপন্মুক্ত এই মহিলা। কিন্তু, বিগত ১৫ বছরে এত বড় টিউমার তাঁরা দেখেননি বলে দাবি করেন।

তিনি যে অন্তঃসত্ত্বা নন, ম্যাডালিনা কেন বুঝতে পারলেন না? তিনি কি গত ন-মাসে একবারও ফুরসত পাননি ডাক্তারের কাছে যাওয়ার? স্বপ্নভঙ্গে মনমরা হয়ে থাকা এই রোমানিয়ান মহিলার কাছ থেকে এর জবাব পাওয়া যায়নি। কারণ, ঘটনার আকস্মিকতায় নির্বাক তিনি।



মন্তব্য চালু নেই