পোষ মেনে যায় বিচিত্র যে প্রাণীগুলো

পোষা প্রাণী আমাদের আনন্দ দেয় এবং আমাদের জীবনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।সাধারণত কুকুর, বিড়াল, হরিণ, ঘোড়া, খরগোশ, টিয়াপাখি ইত্যাদি প্রাণীকে পোষ মানানো হয় বলে আমরা জানি। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা চান একেবারেই অদ্ভুত কোন প্রাণীকে পোষা প্রাণী হিসেবে রাখতে। আসুন এমনই কিছু বিচিত্র প্রানীর কথা আজ আমরা জেনে নেই।

১। ট্যারান্টুলা

বিষাক্ত মাকড়সা ট্যারান্টুলাকে পোষ মানান যায়।ট্যারান্টুলা ২৫ বছর বেঁচে থাকে।এর থাকার উপযুক্ত করে কাঁচের তৈরি বাসা(টেরারিয়াম) প্রস্তুত করে নিতে হবে ও যত্ন নিতে হবে।এটা যেন বাসা থেকে বের হতে না পারে সেদিকে বিশেষ ভাবে লক্ষ রাখতে হয়।

২।ফিনেক ফক্স

বেশির ভাগ শিয়াল পোষ মানানোর জন্য ভালো নয়, তবে ফিনেক ফক্স খুব ভালো পোষ মানে। বিড়ালের চেয়ে ছোট এই প্রাণীটি বুদ্ধিমান। এরা খেলতে পছন্দ করে এবং এদের ব্যায়াম করা প্রয়োজন হয়। গৃহের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জিনিষ গোছানোর কাজটি একে শিখিয়ে নেয়া যায়। এরা মানুষের জন্য ক্ষতিকর না।

৩।মিনিয়েচার ডাঙ্কি

এই প্রাণীটি ৩ ফুট লম্বা ও ৩০০ পাউন্ড ওজনের হয়। যাদের বাড়িতে বাড়তি জায়গা আছে তাঁরা মিনিয়েচার ডাঙ্কি রাখেন। তবে মিনিয়েচার ডাঙ্কি একা থাকতে পছন্দ করেনা। পোষা প্রাণী হিসেবে রাখতে চাইলে ২টি গাধা রাখতে হয়। এরা মানুষের কোন ক্ষতি করেনা এবং শিশুদের ভাল বন্ধু হতে পারে।

৪।মাদাগাস্কার হিসিং ককরোচ

তেলাপোকার নাম শুনে অবাক হচ্ছেন! অনেকে এই তেলাপোকা পোষা প্রানী হিসেবে বাসায় রাখেন। মাদাগাস্কারের এই তেলাপোকা ১-৩ বছর পর্যন্ত বাঁচে। মাদাগাস্কারের পাওয়া যায় এবং হিস হিস শব্দ করতে পারে বলে এর নামকরণ হয়েছে মাদাগাস্কার হিসিং ককরোচ। এরা উড়েনা এবং কামড় দেয়না।

৫।স্কাঙ্ক

স্তন্যপায়ী এই প্রাণীটি ছোট বিড়াল ছানার সমান হয়। এর কালো শরীরের উপরে দুইটি সাদা ডোরা থাকে। দেখতে কাঠবিড়ালির মত এই প্রাণীটি আত্মরক্ষার জন্য দুর্গন্ধ ছড়ায়। এই প্রাণীটি চমৎকার ভাবে পোষ মানে এবং বেশি যত্ন নিতে হয়না। তবে একে পোষা প্রাণী হিসেবে রাখতে চাইলে এর গন্ধ গ্রন্থি ফেলে দিতে হবে। গন্ধ গ্রন্থি ফেলে দেয়ার পর একে আবার জঙ্গলে ফিরিয়ে দেয়া যাবেনা।

এমন আরো কিছু প্রাণী যেমন – ওয়াল্লাবি, সজারু, সুগার গ্লাইডার ইত্যাদি প্রাণীকেও পোষা প্রাণী হিসেবে রাখেন অনেকেই।



মন্তব্য চালু নেই