পৈশাচিক নির্যাতনে শিশু হত্যা : গ্রেফতার হয়নি ৩ আসামি
সিলেট সদর উপজেলার ৮ নম্বর কান্দিগাঁও ইউনিয়নের ১৩ বছরের কিশোর সামিউল আলম রাজনকে নির্মম ও বর্বরোচিতভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ।
গত বুধবার সামিউলকে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টাকালে নগরীর জালালাবাদ পুলিশ ওই উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মালিকের ছেলে মুহিত আলমকে (২২) লাশসহ আটক করে।
এর পর থেকে পুলিশ বাকি নির্যাতনকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশকে অভিযানে সহায়তা করছে বিজিবি। তবে আর কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ।
তবে পুলিশ বলছে, খুব শিগগরিই বাকি নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
জালালাবাদ থানার ওসি আখতার হোসেন জানান, এ ঘটনায় যে বা যারাই জড়িত, তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
সামিউল হত্যাকাণ্ডে জড়িত মুহিত আলমকে সোমবার আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন।
এদিকে সামিউল আলম রাজন হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং দায়ীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে রোববার বেলা ২টার দিকে তার বাড়ির সামনে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসী। তারা সামিউলের হত্যাকারীদের অবিলম্বে টালবাহনা না করে গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সিলেট নগরীর কুমারগাঁওয়ে সামিউলকে চুরির মিথ্যা অপবাদে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হয়। একপর্যায়ে সামিউল মারা গেলে তার লাশ গুম করার চেষ্টাকালে পুলিশের হাতে আটক হয় মুহিত আলম।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নগরীর জালালাবাদ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় আটক মুহিত আলম (২২) ও তার ভাই কামরুল ইসলাম (২৪), তাদের সহযোগী আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪) ও চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়নাকে (৪৫) আসামি করা হয়েছে।
নিহত সামিউল আলম রাজনের বাড়ি সিলেট নগরীর কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডের পাশে সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামে।
সামিউলের বাবা শেখ আজিজুর রহমান পেশায় একজন মাইক্রোবাসচালক। তার দুই ছেলের মধ্যে সামিউল বড়। অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা সামিউল সবজি বিক্রি করত।
আরো পড়ুন :
মন্তব্য চালু নেই