পেট্রোলবোমা তৈরি ও নিক্ষেপকারীদের হাত পুড়িয়ে দেয়া উচিৎ

জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদক পাচার ও চোরাকারবারীর মতো সমাজ বিরোধী কার্যক্রম রোধে এনএসআই সদস্যদের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসীদের বাংলাদেশের মাটিতে স্থান হবে না। প্রতিবেশী দেশগুলোতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর জন্য আমরা আমাদের ভূমি ব্যবহার করতে দেবো না।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এনএসআই সদস্যরা সমাজ বিরোধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। এ ধরনের সমাজ বিরোধীদের বিরুদ্ধে আপনাদের কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।’
শনিবার সেগুন বাগিচায় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) বহুতল ভবনের ভিত্তিস্থাপন অনুষ্ঠানে একথা বলার আগে সকালে হাসপাতালে গিয়ে বোমায় আহত এক ছাত্রকে দেখে আসেন তিনি।
অগ্নিদগ্ধ এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর করুণ চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই পেট্রোল বোমা বানায় কারা, মারে কারা? যারা মারবে তাদের ধরে ধরে হাতটা পুড়িয়ে দিয়ে পোড়ার যন্ত্রণাটা বোধহয় তাদের বুঝতে দেওয়া উচিৎ।’
বিএনপি-জামায়াতের বিগত সরকার সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে তারা নিজেরা নিজেদের জন্য কূপ খনন করছে।’
তিনি বলেন, ‘এটি প্রমাণিত যে, প্রতিবেশী দেশগুলোর ক্ষতির জন্য জঙ্গিদের আশ্রয় ও অস্ত্র সরবরাহ দিলে দেশকে এর জন্য মূল্য দিতে হয়।’
শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ অঞ্চলে ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটেছে, তা সত্ত্বেও একটি মহল দেশে হীন খেলায় মেতে আছে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘কে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র বানাতে চায় এবং সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়?
শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীদের উৎখাতের মাধ্যমে তার সরকার বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এই নীতি গ্রহণ করায় দেশে গত ৬ বছর শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় ছিল। সূত্র: বাসস



মন্তব্য চালু নেই