পেট্রোলবোমায় দগ্ধ পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

বিএনপির ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধের দ্বাদশ দিন গত ১৭ জানুয়ারি রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া পেট্রোলবোমায় দগ্ধ পুলিশ সদস্য শামীমের মৃত্যু হয়েছে।

রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান।

পুলিশ সদস্য শামীমের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করে মাসুদুর রহমান  বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে তিনি (শামীম) মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডিএমপির পক্ষ থেকে শামীমকে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়েছে।’ তাছাড়া পুলিশ আইন অনুযায়ী কর্তব্যরত অবস্থায় কোনো পুলিশ সদস্য মারা গেলে যেটুকু সহযোগিতা করার নিয়ম রয়েছে, তা শামীমের পরিবারকে দেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

এদিকে বারডেম হাসপাতালে ডিউটি শেষে পুলিশ সদস্যরা রাজারবাগ ফিরছিলেন। তাদের বহনকারী গাড়িটি মৎস্য ভবনের সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা সেটি লক্ষ্য করে পেট্রোলবোমা ছুঁড়ে মারে। এতে এসআই আজাদ, কনস্টেবল শামীম, বদিয়ার মোরশেদ ও লিখন দগ্ধ হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কয়েকজনকে স্কায়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার সকালে কনস্টেবল শামীমের মৃত্যু হয়েছে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছরপূর্তির দিনটিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও পেট্রোলবোমা হামলা চালানো হচ্ছে। এসব হামলা রোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

তবে সরকার এসব হামলার জন্য একদিকে বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করছে। অন্যদিকে বিএনপি দায়ী করছে সরকারকে। পাল্টাপাল্টি এমন দোষারোপের মধ্যেই প্রতিদিন বেড়ে যাচ্ছে এ ধরনের ঘটনায় আহত ও নিহতের সংখ্যা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান সত্ত্বেও এসব চোরাগোপ্তা হামলা থামানো যাচ্ছে না। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালেও ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনের সময় এভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল।



মন্তব্য চালু নেই