পৃথিবীর নৃশংসতম ২০টি নির্যাতন, জানলে গায়ের লোম খাড়া দিবে… (দেখুন ছবিসহ)
ক্রোকোডাইল শিয়ার: রাজাকে হত্যার চক্রান্তে জড়িত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হত এই যন্ত্র। এটিকে গরম করে অভিযুক্তের প্রত্যঙ্গে চেপে ধরা হলে কেটে বেরিয়ে আসত সেই অঙ্গটি।
ব্রেস্ট রিপার: এই যন্ত্রটি গরম করে মহিলাদের স্তনে বসিয়ে ঝাঁকানো হত। তার পরিণামে মাংস খুবলে আসত স্তন থেকে।
সিমেন্টের জুতো:মার্কিন মাফিয়ারা নিজেদের শত্রুদের তরল সিমেন্টের পাত্রে দাঁড়াতে বাধ্য করত। তারপর সেই সিমেন্ট পায়ের পাতার চারধারে জুতোর আকারে জমে গেলে তাকে জীবন্ত ছুঁড়ে ফেলা হত নদীতে।
জুডাস চেয়ার:১৮শ শতকের ইউরোপে লোহার পেরেক দেওয়া এই চেওয়ারে বসিয়ে বন্দিদের স্বীকারোক্তি আদায় করা হত। চেয়ারের নীচে তাপও দেওয়া হত।
র্যাট টর্চার: বন্দির দেহের সঙ্গে একদিক খোলা একটি খাঁচা বেঁধে তাতে পুরে দেওয়া হত একটি ধেড়ে ইঁদুর। খাঁচার বন্ধ দিকটায় তাপ দিলে ইঁদুরটি বাঁচার জন্য অন্যদিক দিয়ে বন্দির দেহ খুবলে খেয়ে পালানোর চেষ্টা করত।
করাত নির্যাতন: বন্দিকে উল্টো করে ঝুলিয়ে আড়াআড়ি করাত চালনো হত শরীরে। বন্দির মাথায় সমস্ত রক্ত চলে আসার ফলে নির্যাতনপর্বটিতে সে চট করে জ্ঞান হারাত না।
স্প্যানিশ গাধা: স্পেনে বন্দিদের জেরার সময়ে বন্দিদের নগ্ন করে এই যন্ত্রের ধারাল আগার ওপর আড়াআড়ি শুইয়ে পায়ে ওজন ঝুলিয়ে দেওয়া হত। ওজন যত বাড়নো হত তত শরীরে কেটে বসে যেত ধারাল আগাটি।
ব্রেকিং হুইল বা ক্যাথারিন হুইল:শাস্তিপ্রাপ্তের হাত-পা একটা বড় চাকার দাঁড়াগুলোর সঙ্গে বেঁধে চাকাটা ঘোরানো হত আর হাতুড়ি দিয়ে মারা হত তার হাত-পায়ে। হাড় ভেঙে হাত-পা ছিঁড়ে এলে মৃতদেহটিকে উঁচু পোলের ওপর ফেলে রাখা হত কাক-শকুনের খাদ্য হওয়ার জন্য।
প্রজাতান্ত্রিক বিবাহ:ফরাসি বিপ্লবের সময়ে জাঁ বাপ্তিস্ত ক্যারিয়ার আমলের ঘটনা। পুরুষ ও মহিলাদের নগ্ন করে একসঙ্গে বেঁধে বরফজলে চুবিয়ে মারা হত অথবা তরোয়ালের উপর দিয়ে হাঁটানো হত।
কফিন টর্চার।মধ্যযুগে এই পদ্ধতিতে দোষীকে শাস্তি দেওয়া হত।
আয়রন মেডেন। এই যন্ত্রর মাধ্যমে দোষীকে তিলে তিলে কষ্ট দেওয়া হত।
লেড স্প্রিঙ্কলার। প্রবল কষ্ট পেতে পেতে দোষীকে শাস্তি দেওয়া হত।
জুডাস ক্র্যাডল। পিরামিডের মতো একটা দোলনায় দোষীকে বসিয়ে মৃত্যুর দিকে ধীরে ধীরে ঠেলে দেওয়া হত।
ক্রুশবিদ্ধ। যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল।
নেক টরচার। অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতেন দোষী। এই যন্ত্র ধাতুর বা কাঠের তৈরি থাকত।
হেরেটিক্স ফোর্ক। এভাবেই দোষীকে শাস্তি দেওয়া হত। যন্ত্রের একটি দিক চোয়ালের নীচে ধরা থাকত, অন্যদিকটা থাকত বুকে। বোঝাই যাচ্ছে কী ভীষণ শাস্তি পেতে হত দোষীকে।
ইমপেলমেন্ট। পঞ্চদশ শতকের রোমানিয়ায় এভাবেই দোষীকে শাস্তি দেওয়া হত। পোলে বিঁধে দেওয়া হত দোষীদের।
ব্র্যাজেন বুল আসলে ধাতব এক ষাঁড়। প্রাচীন গ্রিসে এই পদ্ধতিতে দোষীকে শাস্তি দেওয়া হত। দোষীকে ধাতব ষাঁড়ের পেটের ভিতের ঢুকিয়ে দেওয়া হত। আর নীচে জ্বলত আগুন। বোঝাই যাচ্ছে কতটা কষ্ট পেত দোষী।
গামলার উপরে দোষীকে বসিয়ে তাঁর মুখে দুধ ও মধু মাখিয়ে দেওয়া হত। দিনকয়েক এভাবেই বসে থাকার পরে দোষীর মুখে এসে বসত মাছি-সহ বিভিন্ন পতঙ্গ। কয়েকদিন বাদে সেই দোষীর শরীরেই জন্ম নিত লার্ভা।
মন্তব্য চালু নেই