পুলিশ হত্যায় জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে

রাজধানীর দারুসসালামের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালনকালে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা নিহত হওয়ার ঘটনায় জামায়াতের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের আইজিপি একেএম শহিদুল হক।

আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজারবাগ পুলিশ লাইন মাঠে ইব্রাহিম মোল্লার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে আইজিপি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আটক মাসুদকে জিজ্ঞাসাবাদে জামায়াতের সংশ্লিষ্টতার তথ্য এসেছে। তারপরও আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। যখন যাচাই-বাছাই হবে তখন পূর্ণাঙ্গভাবে বলা যাবে কারা জড়িত।

আইজিপি বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি। তার তথ্যের আলোকে আমরা কামরাঙ্গিরচরে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি। গ্রেপ্তার অভিযান চলছে। মনে হয়েছে তারা একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গ্রুপ। তারপরও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।

এএসআই নিহতের ঘটনাটি ডিবি ও থানা পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।

আইজিপি, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা এটি। এএসআই ইব্রাহিম অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি নির্দেশনা অনুযায়ী ওই ব্যক্তির লাগেজ তল্লাশি করছিলেন। আর এ সময়ই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

এ হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত তা পুলিশ দ্রুত উৎঘাটন করতে পারবে বলে তিনি আশা করেন।

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘মাসুদের তথ্য মতে আমরা কামরাঙ্গিরচরে ব্যাপক বিস্ফোরক ও বোমা উদ্ধার করেছি। গাজীপুর থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। পূর্ণাঙ্গ তদন্তেই বোঝা যাবে এর পেছনে কারা জড়িত এবং কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।’

জানাজা শেষে ইব্রাহিম মোল্লার লাশ তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর গাবতলীর পর্বত সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় দুই দুর্বৃত্তের ব্যাগ তল্লাশি করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহন হন এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।



মন্তব্য চালু নেই