পুলিশ পরিদর্শকের বাসায় অসামাজিক কর্মকান্ড ॥ দুই কিশোরীসহ যুবক আটক

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের উত্তর পাশের এক পুলিশ পরিদর্শকের বাসায় অবৈধ ভাবে অবস্থান করায় পুলিশ দুই কিশোরীসহ এক যুবককে গত সোমবার আটক করেছে।

আটককৃত কিশোরীর নাম হ্যাপি খাতুন (১৭) ও আশা পারভীন (১৬)। তারা দু’জনই সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। যুবকটির নাম রাসেল(১৯)।

সে পাবনার ঈশ্বরদী থানার ইলশাবাড়ি গ্রামের শাহাবুদ্দিন বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

মহল্লাবাসিরা জানান, উল্লাপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) শামসুজ্জামানের বাসায় তার কেয়ারটেকার শাহিদুল ইসলাম (৩০) রবিবার সন্ধ্যায় দুই কিশোর ও দুই কিশোরীকে নিয়ে আসে। সোমবার দুপুরে শিমূল নামের প্রতিবেশি এক ভদ্রমহিলা বিষয়টি টের পেলে ঘটনা জানাজানি হয় এবং সবাই মিলে ঐ বাড়ি ঘিরে ফেলেন।

অবস্থার বেগতিক দেখে মহল্লার অধিবাসী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম ভাঙ্গুড়া থানার ওসিকে ফোন করেন। এসআই গাজী নুরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঐ বাসার ভিতর থেকে তাদের উদ্ধার করেন।

এসময় বাবলু (২০) নামের অপর যুবক পালিয়ে যায়। কেয়াটেকার শাহিদুল পলাতক রয়েছে।

আরো জানা যায়, শামসুজ্জামানের অনুপস্থিতিতে কেয়াটেকার তার বাসায় বাহির থেকে যুবক যুবতী এনে অসামাজিক কর্মকান্ড চালায়। কয়েকদিন আগে শাহিদুলকে এজন্যে প্রতিবেশিরা উত্তম মাধ্যম দেয়। এ ব্যাপারে বাড়ির মালিক পুলিশ অফিসার শামসুজ্জানকে অবহিত করা হলে তিনি সোমবার দুপুরে বাড়ি এসে পুলিশ ও অসংখ্য লোকজনের উপস্থিতি লক্ষ্য করেন।

20150316_134302

তিনি ক্ষুব্দ হয়ে ঘরের বিছানাপত্র বের করে আগুণ দিয়ে পুড়িয়ে দেন। এ ব্যাপারে আশা ও হ্যাপি জানায়, তাদের প্রেমিক রাসেল ও বাবলু দু’জনই রাজশাহী পলিটেকনিক কলেজের ৩য় বর্ষের ছাত্র। বিয়ের উদ্দেশ্যে সোমবার সকালে তারা ভাঙ্গুড়ায় আসে।

20150316_134331

ভাঙ্গুড়া থানার ওসি আবু জাফর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মেয়ে দুটো ফোনে ভালোবাসা করে কেয়াটেকারের সহায়তায় ঐ ফাঁকা বাসায় আশ্রয় নিয়েছিল। শামসুজ্জামানকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করতে চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।



মন্তব্য চালু নেই