পুলিশ আসলো কেন?
‘গাছা লাগাইলি উপড়ে ফেলেছি। ইউএনওর কাছে অভিযোগ করেছিস? কাজটা ভালো করিসনি। অভিযোগ করলি, করলি, কিন্তু পুলিশ আসলো কেন? এভাবেই আস্ফালন করতে করতে কাদু আমার ওপর হামলা করে। আমাকে টেনে হিঁচড়ে ঘর থেকে মারতে মারতে বের করে। এরপর উঠানে এনে কাদু ও তার লোকজন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা টিপে ধরে।’
একথাগুলো বলছিলেন সাতক্ষীরা সদরের ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ঝর্ণা খাতুন। তিনি সাতক্ষীরা সদরের মাছখোলা পশ্চিমপাড়া গ্রামের নইম মোল্যার স্ত্রী।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা সদর থানার সামনে দাঁড়িয়ে ঝর্ণা আরো জানান, ‘গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান’ -এ স্লোগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি তার জমির সীমানায় তিনটি আমগাছ ও মেহগনি গাছসহ অন্যান্য গাছ রোপন করেন। এতে হিংসার বশবর্তী হয়ে একই এলাকার ঈমান আলীর ছেলে আব্দুল কাদের কাদু ১৯ নভেম্বর রাতে গাছগুলো উপড়ে পুকুরে ফেলে দেয়।
এঘটনায় ঝর্ণা খাতুন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সাত্ক্ষীরা সদর ইউএনও শাহ আব্দুল সাদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) পত্র দেন। ওই পত্র পাওয়ার পর ওসি বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে ফিরে আসার পর শুক্রবার বিকেলে আব্দুল কাদের কাদু তার লোকজন নিয়ে মহিলা মেম্বর ঝর্ণার বাড়িতে হামলা চালায়। এতে আহত হন ঝর্ণা ও তার স্বামী নইম মোল্যা।
হামলার ঘটনায় মামলা করতে শুক্রবার রাতে সদর থানায় উপস্থিত হন মহিলা মেম্বার ঝর্ণা।বাংলামেইল
মন্তব্য চালু নেই