জঙ্গিদের অস্ত্রভাণ্ডার কোথায়
পুলিশের বড় অভিযানে মিলছে দেশি চাপাতি আর ছোট ছুরি
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি’র সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী একের পর এক অভিযান চালাচ্ছে। তবে এসব অভিযানে বড় নাশকতা চালানোর মতো কোনও বিস্ফোরক বা মারণাস্ত্র মিলছে না। প্রতিটি অভিযানের পর অল্প পরিমাণে দেশীয় চাপাতি, ছুরি ও বৈদ্যুতিক তার পাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, জঙ্গিরা যাতে সংঘবদ্ধ হতে না পারে সেজন্য গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক এমন অভিযান চলবে। খরব বাংলা ট্রিবিউনের।
গত ১৮ জুলাই সোমবার দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা বগুড়ার চরাঞ্চলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে দুই উপজেলার কয়েকটি গ্রামে প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে র্যাব-পুলিশ-বিজিবি যৌথ অভিযান চালায়। অভিযান শেষে একটি কলাবাগান থেকে চারটি চাপাতি, তিনটি চাকু এবং কিছু জেহাদি বই পাওয়া গেছে। কোনও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাওয়া যায়নি।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলার চর এবং ধুনট উপজেলার নিমগাছি চরাঞ্চলে জঙ্গিদের আস্তানা এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যন্ত এলাকাগুলোয় র্যাব-পুলিশ-বিজিবি যৌথ অভিযান চালায়। বাহিনীগুলোর প্রায় সাড়ে চারশ সদস্য অভিযানে অংশ নেয়।
র্যাবের কর্মকর্তারা বলেছেন, এই অভিযানে কোনও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা আস্তানা পাওয়া না গেলেও জঙ্গিরা এসব অঞ্চল ব্যবহার করেছে এমন কিছু আলামত তারা পেয়েছেন।
তবে র্যাবের ব্যাটালিয়ন ১২ এর সিইও মো. সাহাব্বুদ্দিন খান এ বিষয়ে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়ায় অভিযান চালানো হয়েছে। এখানে জঙ্গিরা ছিল, তার চিহ্ন এবং আলামতও রয়েছে।
অভিযান শেষে বগুড়ার চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের এক সমাবেশে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ জঙ্গিদের ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার ঘোষণা করেন। যারা সঠিক তথ্য দিয়ে কাউকে ধরিয়ে দিলে দেওয়া হবে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার।
ওই অভিযানের একদিন পর মঙ্গলবার গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চলে জঙ্গি আস্তানার খোঁজে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে যৌথ বাহিনী। সোমবার রাত ১২টার পর এ অভিযান শুরু হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত চলে অভিযান। সাঘাটার দীঘলকান্দি, বিজলকান্দি ও সিপি গাড়ামারা চরে এ অভিযান চলে। যৌথ বাহিনী এ সময় সন্দেহভাজন বাড়িঘর ও এলাকাগুলোয় ব্যাপক তল্লাশি চালায়। অভিযানকালে পরিত্যক্ত অবস্থায় দু’টি রামদা উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে ১২০ জন র্যাব ও পুলিশ সদস্য ওই অভিযানে অংশ নেন।
গুলশানে আর্টিজান রেস্টুরেন্টে এবং শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর এই প্রথম জঙ্গিবিরোধী বড় ধরনের অভিযান চালানো হলো।
মন্তব্য চালু নেই