পুরুষ দেহে শিহরণ তৈরি করতে পারে কেবল নারীর কণ্ঠস্বরই!

স্বাভাবিকভাবে আমরা ধারনা করে থাকি পুরুষের কাছে নারীকে আকর্ষণীয় করে তোলে মূলত তার রূপ, কণ্ঠস্বর নয়। কিন্তু নারীর কণ্ঠস্বর আসলেই পুরুষের শরীরে শিহরণ তৈরি করতে পারে, তাকে করে তুলতে পারে আরও বেশি আবেদনময়ী।

এ ব্যাপারটি বেশি ঘটতে দেখা যায় যখন নারীর শরীর সন্তান ধারণের জন্য সবচাইতে উর্বর থাকে। গবেষকেরা অনেকদিন থেকেই ধারনা করে আসছিলেন যে পিক ফার্টিলিটির এ সময়টায় নারীর কণ্ঠের ওপর এমন এক ধরণের প্রভাব পড়ে যার ফলে নারীপুরুষ নির্বিশেষে শ্রোতার মাঝে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এ নিয়ে গবেষণা প্রকাশিত হয় জেমস ম্যাডিসন ইউনিভার্সিটি থেকে।

গবেষকেরা বেশি ও কম ফার্টিলিটি অবস্থায় থাকা নারীদের কণ্ঠের রেকর্ডিং শোনানো হয় নারী ও পুরুষের সামনে। এরপর তাদেরকে বলা হয় তার সেই কণ্ঠস্বরের আকর্ষণ বা আবেদনের ব্যাপারে তাদের মতামত জানাতে। এছাড়াও এসব কণ্ঠ শোনার সময়ে শ্রোতাদের ত্বকের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাক্টিভিটি পরিমাপ করা হয়।

দেখা যায়, নারী এবং পুরুষ উভয়েই বেশি ফার্টিলিটির কণ্ঠস্বরকে বেশি আকর্ষণীয় বলে মত দেন। এ ছাড়াও এ কণ্ঠস্বর শোনার সময়ে তাদের ত্বকে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বেড়ে যায় ২০ শতাংশ, হৃদগতি বাড়ে ৫ শতাংশ। ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বেড়ে যাবার ব্যাপারটিকেই আমরা শরীরে শিহরণ হিসেবে অনুভব করি।

পিক ফার্টিলিটি অবস্থায় থাকা একজন নারীর কন্ঠস্বর বুঝতে পারা ও সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া দেখানোর ওপরে পুরুষের বংশধারা অব্যহত থাকার ব্যাপারটি নির্ভর করতে পারে। একইভাবে, পিক ফার্টিলিটি অবস্থায় থাকা নারীকে শনাক্ত করতে পারার ওপরে ওপর একজন নারীর প্রতিযোগিতার ব্যাপারটিও নির্ভরশীল।

ধারণা করা হয় সেক্স হরমোনগুলো শুধুমাত্র জননেন্দ্রিয়গুলোকে প্রভাবিত করে। আসলে কিন্তু এরা অন্যান্য অঙ্গের ওপরেও প্রভাব ফেলতে পারে, যেমন ল্যারিনক্স বা স্বরযন্ত্র। ল্যারিনক্স ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টিনের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে। এ তো গেলো নারীর কণ্ঠস্বরের ব্যাপারটি। অন্যদিকে দেখা যায়, পুরুষের ভারী কণ্ঠস্বরের প্রতি আকৃষ্ট হন বেশিরভাগ নারী।

(মূল: Carolyn Gregoire, Huffington Post)



মন্তব্য চালু নেই