পুরুষ চিকিৎসক ধর্ষিতার বয়স নির্ণয়ে নয়
ধর্ষিতার স্বাস্থ্য (বয়স) পরীক্ষায় কোনো পুরুষ চিকিৎসকের উপস্থিতি যাতে না থাকে তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। রোববার একটি রুলের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের বেঞ্চ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) দীন মোহাম্মদ নুরুল হককে এই নির্দেশ দেয়। আদালতে মহাপরিচালকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ রায়। পুরুষ দিয়ে ধর্ষিত নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় বলে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে গত বছরের ১৬ এপ্রিল স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল দেয় হাই কোর্টের এই বেঞ্চ। পরে জুন মাসে দেয়া আরেক আদেশে ধর্ষণ পরীক্ষার সব সরকারি হাসপাতালে সংশ্লিষ্ট বিভাগে নারী চিকিৎসক, নার্স ও নারী এমএলএসএস নিয়োগ দিতে বলা হয়। ওই আদেশ বাস্তবায়ন না করায় গত ২ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তলব করে হাই কোর্ট। আদালতের আদেশে রোববার হাই কোর্টে হাজির হন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি। তার আইনজীবী রেজাউল আদালতে বলেন, “আদালতের আদেশ মোতাবেক নারী ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের সব অগ্রগতি প্রতিবেদন রেজিস্ট্রারের দপ্তরের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। এ জন্য যথা সময়ে তা আদালতে আসেনি। আমাদের ভুল (সরাসরি আদালতে না দেয়ায়) হয়ে গেছে। এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।” আদালত বলে, “আমরা রুল নিষ্পত্তি করে তাকে (ডিজি) অব্যাহতি দিয়ে দিচ্ছি।” এসময় ডিজিকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলে, “কোনো নারীর (ধর্ষিতা) বয়স নির্ধারণে কোনো পুরুষ ডাক্তার যেন হাত না দেয়।”
মন্তব্য চালু নেই