পুনর্বাসন ছাড়া ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ কেন : হাইকোর্ট

পুনর্বাসন না করে ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে হকারদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার সচিব, শ্রম সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজিপি, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের সহকারী প্রধান ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়রকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোয়াত সিরাজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ ও পুনর্বাসন বিষয়ে সরকার একটি নির্দেশনা জারি করে। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ফুটপাতের দোকানদারদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এলাকাভিত্তিক সাপ্তাহিক বাজারের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া হকারদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটির নির্ধারিত স্থানে বহুতল মার্কেট নির্মাণ করে হকারদের পুনর্বাসিত করতে বলা হয় ওই নির্দেশনায়।

কিন্তু সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ করায় এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। এ ছাড়া পুনর্বাসন না করে হকারদের উচ্ছেদ মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী বলেও রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

গত ১৩ মার্চ বাংলাদেশ ছিন্নমূল হকার্স সমিতির সভাপতি কামাল সিদ্দিকী হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেন। বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হকার উচ্ছেদ সংক্রান্ত প্রতিবেদন রিট আবেদনে সংযুক্ত করা হয়। মঙ্গলবার সেই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।



মন্তব্য চালু নেই