পিরিয়ডের ব্যথামুক্তির জন্যে ৭ প্রাকৃতিক উপকরণ!
সব নারীর এ সমস্যা হয় না। তবে অনেকের ঋতুকালীন ব্যথা অনুভূত হয়। প্রতি মাসে এই যন্ত্রণার শিকার যারা হন, তাদের চিকিৎসকের কাছে দৌড়াতে হয়। কিন্তু এভাবে নিয়মিত দৌড়াদৌড়িতে পেরে ওঠেন না সব নারী। তাই বাড়িতেই যন্ত্রণামুক্তির কিছু উপায় জানা থাকলে দারুণ উপকার হয়। এখানে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ঋতুর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কিছু ঘরোয়া উপায়ের কথা।
♦ ১. কম ক্যাফেইনপূর্ণ চা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কলকাতার পার্ল ক্লিনিকের গবেষক ড. রিমা চ্যাটার্জি। চায়ের উষ্ণতা ব্যথাপূর্ণ পেশিতে কিছুটা আরাম দেবে। এ জন্যে চামোমাইল টি, জিঞ্জার টি, পিপারমিন্ট টি, ল্যাভেন্ডার টি, গ্রিন টি, লেমোনগ্রাস টি, কার্ডামোম টি এবং আরো কয়েক ধরনের হার্বাল চা উপকার দেবে। এ সময়ের অবসাদ দূর করবে এসব চা।
♦ ২. প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন। মুম্বাইয়ের হেলথ সেন্টারের ড. হিতেশ শর্মা জানান, পিরিয়ড চলাকালীন প্রচুর পানি খাওয়া উচিত। এ সময় দেহের পান প্রয়োজন হয়।
♦ ৩. আদা এ সময়ের মহৌষধ। ব্যথা উদ্রেককারী প্রোস্টাগ্লাডিয়ানসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে আদা। এর সঙ্গে অবসাদ দূর করতেও সহায়তা করে। এক কাপ গরম পানিতে এক টুকরা আদা ছেঁচে তার সঙ্গে সামান্য মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন।
♦ ৪. তলপেটে একটা হট ওয়াটার ব্যাগ দিয়ে রাখুন। এতে যন্ত্রণাকাতর পেশিগুলো শিথিল হবে। ব্যথা কিছুটা কমে আসবে।
♦ ৫. ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকাটা বাঞ্ছনীয়। ক্যাফেইন রক্ত চলাচলকারী শিরা-উপশিরাকে সংকুচিত করে দেয়। এত ব্যথা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।
♦ ৬. চর্বিযুক্ত খাবার এ সময় এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। এসব খাবারে লবণ থাকে যা পিরিয়ডের সময় ব্যথা বৃদ্ধি করতে পারে। কলা খান। এর পটামিয়ামে উপকার মিলবে।
♦ ৭. ঋতুকালীন ব্যথা উপশমে দারুণ কাজ করে দারুচিনি। এতে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। এক টেবিল চামচ দারুচিনি গুঁড়ো চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এতে সামান্য মধু মিশিয়ে খান। পিরিয়ড শুরু হওয়ার দুই-তিন দিন আগে থেকে এই চা দুই-তিন কাপ খেলে ব্যথা থাকবে না।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
মন্তব্য চালু নেই