পিন্টুর বাসায় আব্বাসের তেহারি
বিএনপির প্রয়াত সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর বাসায় বড় দুই পাতিল তেহারি পাঠানো হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসা থেকে।
সোমবার বেলা পৌনে ৩টায় মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের পক্ষ থেকে এ তেহারি নিয়ে হাজারীবাগের মনেশ্বর রোডে পিন্টুর বাসায় আসেন মির্জা আব্বাসের দেহরক্ষী আলম।
আলম বলেন, ‘আব্বাস ভাইয়ের বাসাতেই এই দুই পাতিল তেহারি রান্না হয়েছে। সেগুলো পিন্টু ভাইয়ের বাসায় আমার মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।’
পিন্টুর বাসায় শোকাহতদের ভিড়
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহামেদ পিন্টুকে এক নজর দেখতে তার বাসভবনে ভিড় জমাচ্ছেন দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। সকাল থেকে অনেকেই এসেছেন তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাঁদলেনও কেউ কেউ। তবে বাদ আসর তার বাসভবন এলাকায় শেষ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়া কথা থাকলেও দুপুর পর্যন্ত দলের কোনো কেন্দ্রীয় নেতাকে তার বাসায় দেখা যায়নি।
পিন্টুর বাসায় গিয়ে দেখা গেছে, হাজারীবাগের মনেশ্বর রোডের বাসায় পিন্টুর মরদেহ দেখতে ও জানাজায় অংশ নিতে শতশত মানুষ ঝড়ো হচ্ছেন। পুরো বাড়িটাই যেন ডুবে আছে শোকের কালো ছায়ায়।
পারিবারিক সূত্র জানায়, বাদ আসর হাজারীবাগ লেদার ট্যাকনোলজি মাঠে পিন্টুর শেষ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পোনে ১২টায় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। রোববার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জানাজা।
নয়াপল্টনে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পৌনে ১টার সময় হাজারীবাগে নিজ বাসভবনে তার মরদেহ আনা হয়। ভোর ৬টার রাজশাহী থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে পিন্টুর মরদেহ তার হাজারীবাগের মনেশ্বর সড়কের বাসায় নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা।
বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ২০০৯ সালে গ্রেপ্তার হন। পিন্টুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী বিডিআর জওয়ানদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়। এ বিচারে তার ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়।
গত ২০ এপ্রিল তাকে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়। এর আগেও গত সপ্তাহে হার্টের সমস্যায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রোববার বেলা ১২টা ১০ মিনিটে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের প্রিজন সেলে তার মৃত্যু হয়।
মন্তব্য চালু নেই