পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চীনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

পটুয়াখালীতে কয়লাভিত্তিক ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চীনের দ্য ফার্স্ট নর্থ-ইস্ট ইলেকট্রিক পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির (এনইপিসি) সঙ্গে বাংলাদেশ-চীন বিদ্যুৎ কোম্পানির (বিসিপিসিএল) চুক্তি সই হয়।
রাজধানীর একটি হোটেলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ চুক্তি সই হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আগামীকাল ৩০ মার্চ বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ মালিকানার এই কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন ।এ কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোক্তা চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি।
নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড এর পক্ষে চুক্তিতে সই করেন কোম্পানি সচিব দীপক কুমার ঢালী। আর এনইপিসির পক্ষে কোম্পানির নির্বাহী মি চাইমিং চেনইং।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের পরিবেশ ভালো। আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।’
বিদ্যুৎপ্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের এখন মাথাপিছু বিদ্যুতের ব্যবহার ৩৮৫ কিলোওয়াট। মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে হলে বিদ্যুৎ ব্যবহার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে ৬০০ কিলোওয়াট।’
২০১৯ সালের জুনে এই কেন্দ্রটির ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট এবং ডিসেম্বরে একই ক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবার কথা আছে।
পায়রায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ২০১৪ সালে সিএমসি ও নর্থ ওয়েস্ট এমওইউ সই করে। এর আলোকেই সে বছরই বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি গঠন করা হয়। পটুয়াখালিতে পায়রা সমুদ্র বন্দরের পাশে নির্মিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মোট ১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে। প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট/ঘণ্টা) বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় হবে সাড়ে ৬ টাকা। এ প্রকল্পের নতুন দিক হলো অর্থায়ন চুক্তির আগেই নির্মাণ কাজ শুরু হবে। যেখানে অন্য প্রকল্পগুলোর জন্য অর্থায়ন চুক্তি আগে সম্পাদন করতে হতো।
চুক্তি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম, নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খোরশেদ আলম বক্তব্য দেন।

































মন্তব্য চালু নেই