পাহাড়ি ঢলে হঠাৎ বন্যা, উদ্ধারে বিজিবি ও সেনা

ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার দুইশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদ সীমার ২৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির তোরে ভেসে গেছে ঘর ও গবাধি পশু। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্ধার কাজে নেমেছে বিজিবি ও সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার সকালে নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক ড. তরুণ কান্তি শিকদার প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

জেলা প্রশাসক জানান, পানিবন্ধি মানুষকে উদ্ধার ও প্লাবিত এলাকায় সার্বিক সহযোগিতার কাজ চলছে। এতে সেনা ও বিজিবির সদস্যরাও সহায়তা করছেন।

এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরীর পানি বিপদ সীমার ২৫০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে।

দুর্গাপুর উপজেলার খালিশাপাড়া, শিরবির, শুকনাকুড়ি, ঢুলিগাতি, দাকিনাইল ও কলামাকান্দা উপজেলার লেংগুরা, কৈলাটি, রংছাতি, খারনৈসহ বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন দুই শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ।

দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, এ বছর উপজেলায় মোট ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণে উপজেলার প্রায় চার হাজার হেক্টর জমির আমন ধান তলিয়ে গেছে।

দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এমদাদ খান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কৃষকদের সহায়তার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানানো হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই